বান্দরবানে রেংমিটচ্য ভাষার স্কুল উদ্বোধন

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবান আলীকদমে বিলুপ্তপ্রায় রেংমিটচ্য ভাষায় কথা বলতে পারেন মাত্র সাতজন মানুষ। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর ভাষাটিকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে আলীকদম সেনা জোন।

আলীকদমে 'ক্রাংসিপাড়া সেনা মৈত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়' নামে একটি স্কুল তৈরি করা হয়েছে এই লক্ষ্যে।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর প্রধান অতিথি ৬৯পদাতিক বিগ্রেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ এই স্কুল উদ্বোধন করেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'বান্দরবানের  বিলুপ্তপ্রায় রেংমিটচ্য ভাষা ও এই ভাষাভাষী জাতিগোষ্ঠি সম্পর্কে গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। দেশের সব নাগরিকের মতো তাদেরও সমান অধিকার আছে। সেই তাগিদ থেকেই এই ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। স্কুল প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি। যেখানেই আমাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে সেখানেই কাজ করছি। শিক্ষা প্রসার, চিকিৎসা সহায়তা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়ন করতে বান্দরবান সেনা জোন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।'

নবনির্মিত ক্রাংসিপাড়া সেনা মৈত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষক চিংরাও ম্রো বলেন, 'আমাদের রেংমিটচ্য ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে এতদিন নিজের বাড়িতে ছেলেমেয়েদের পড়িয়েছি। পাড়াবাসী ও রেংমিটচ্য ভাষাভাষীর পরিবারের স্কুল নির্মাণে ইচ্ছা থাকলেও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নির্মাণ করতে পারিনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে স্কুল নির্মাণ হয়েছে। এই স্কুলের মাধ্যমে রেংমিটচ্য ভাষা পাশাপাশি বাংলা ভাষায়ও নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের শেখাতে পারব।'

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদী হাসান, আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল শওকাতুল মোনায়েম, আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার তবিদুর রহমান, ক্রাংসি পাড়াবাসী ও নবনির্মিত স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

3h ago