হাইকোর্টের রায় বাতিল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়কর ১৫ শতাংশ বহাল

স্টার ফাইল ফটো

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ডেন্টাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওপর ১৫ শতাংশ আয়কর আরোপের সরকারি আদেশ অবৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এর ফলে, বেসরকারি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর ১৫ শতাংশ আয়করের নির্দেশ বহাল থাকল। 

হাইকোর্টের ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে সরকারের করা পৃথক ৪৪টি আপিল নিষ্পত্তি করে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি বোরহানউদ্দিনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন-বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী।

এ বিষয়ে আপিল বিভাগের যুক্তি ও পর্যবেক্ষণের বিশদ বিবরণ আদেশের পূর্ণাঙ্গ পাঠ প্রকাশের পরে জানা যাবে।

যোগাযোগ করা হলে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে মো. মোরশেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ডেন্টাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে আয়কর দিতে হবে।'

তবে কীভাবে এবং কখন থেকে আয়কর দিতে হবে তা আদেশের পূর্নাঙ্গ পাঠ প্রকাশের পর জানা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জানতে চাইলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর সাদাত ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আপিল বিভাগের রায়ের তাৎপর্য এখনও প্রকাশ করা না হওয়ায় এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তাই এখনই বলা যাবে না যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোকে আয়কর দিতে হবে।'

২০০৭ ও ২০১০ সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর সরকার আয়কর আরোপ করে।

পরে ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও এক শিক্ষার্থীর ৪৬টি পৃথক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বেসরকারি এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর ১৫ শতাংশ আয়কর আরোপ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

সরকারের জারি করা কর আরোপের ৩টি আদেশও বাতিল করেছিল হাইকোর্ট।

আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে মো. মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার ওমর সাদাত ও ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী।

Comments

The Daily Star  | English

'State intelligence agency' is attempting to form political party, Rizvi alleges

Doubts are growing as to whether there are subtle efforts within the government to weaken and break the BNP, he also said

1h ago