বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বর্তমান যুগটা আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানের যুগ। আমরা কখনো পিছিয়ে থাকব না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। আর সেই জন্য আমরা চাই, ছোট্ট বয়স থেকে আমাদের ছেলে-মেয়েরা কম্পিউটার শিখবে, প্রযুক্তি পরিবর্তনশীল; তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষাগ্রহণ করবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে যত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করার, আমরা কিন্তু করে যাচ্ছি।'
শিক্ষার বিস্তারে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আমরা চাই, আমাদের দেশটা ঠিক (যেন) বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, সে জন্য আমাদের শিক্ষা কারিকুলামগুলোতে পরিবর্তন আনা এবং সেই সাথে সাথে আজকে আমরা শিক্ষাকে যেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি, তার ফলে আমাদের স্বাক্ষরতার হার অনেক বেড়ে গেছে। যেখানে ৪৪ ভাগ ছিল, সেখানে আজকে ৭৬ দশমিক আট ভাগে উন্নীত করেছি।
'সবচেয়ে বড় কথা আমাদের প্রাইমারি স্কুলে ছেলে-মেয়ে উভয়ই যেতে পারছে। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কিন্তু কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশটাকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়তে চাই, একমাত্র শিক্ষাই পারে—শিক্ষিত জাতি ছাড়া কিন্তু একটা দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হয় না। এ জন্য শিক্ষাকে আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি এবং আমরা বাজেটেও বিশেষভাবে টাকা রাখি,' যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষাকে বহুমুখী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। উচ্চ শিক্ষাটাও আমরা বিভিন্ন জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়ে সেখানে বহুমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা, জ্ঞান-বিজ্ঞান-অ্যাভিয়েশন সব ক্ষেত্রে এবং আমাদের কৃষি বিজ্ঞান, আমাদের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সর্ব ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
'তার কারণ আগামী দিনে তো এই ছেলে-মেয়েরাই একদিন আমার মতো প্রধানমন্ত্রী হবে মন্ত্রী হবে বা ভালো শিক্ষক হবে,' যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'শিক্ষা ক্ষেত্রে যত টাকা লাগে আমরা দেবো। আন্তর্জাতিক যত নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তারা কীভাবে শিক্ষা দেয়? কী কারিকুলাম শিখায়? কীভাবে? কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে? আমরা সে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশে তৈরি করতে চাই। সেই সাথে সাথে হাতে কলামে শিক্ষা (দেওয়া) যাতে করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।'
Comments