এসএসসিতে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ১৩ বছরের মধ্যে চলতি বছর ঢাকা বোর্ডে পাসের হার সর্বনিম্ন।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীরা খারাপ করার প্রভাব বোর্ডের সার্বিক ফলাফলের ওপর পড়েছে। এই বোর্ডের আওতায় নামকরা অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও শিক্ষার্থীদের দুর্বল ফলাফলকেই বোর্ডের সার্বিক ফল খারাপ হওয়ার পেছনে দায়ী করছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের গণিতে খারাপ করা ও এ বছর শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়াই গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার ঢাকা বোর্ডের খারাপ ফল করার কারণ হতে পারে।
চলতি বছর এই বোর্ড থেকে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৭৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ পাস করেছে।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪২ শতাংশ, মানবিকে ৬৪ দশমিক ০৭ শতাংশ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৮০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এই বোর্ডের অধীনে ১৫টি জেলার মধ্যে ফরিদপুরে পাসের হার সবচেয়ে কম ৬৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। এ ছাড়া, শরীয়তপুরে ও মানিকগঞ্জে এর হার যথাক্রমে ৬৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও ৬৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। সর্বোচ্চ পাসের হার ঢাকা মহানগরীতে ৮৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত বছরের তুলনায় এ বছর জিপিএ-৫'র সংখ্যাও কমেছে। চলতি বছর এই বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩০৩ জন, যেখানে গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৬৪ হাজার ৯৮৪।
বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা বোর্ডের ৮০ দশমিক ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিত বিষয়ে ও ৯০ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে পাস করেছে, যা ৯টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে কম।
বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ২০২২ সালে ৯০ দশমিক ০৩ শতাংশ, ২০২১ সালে ৯৩ দশমিক ১৫ শতাংশ ছিল। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এই দুই বছরই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।
২০২০ সালে এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৭৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৮১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৮৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৮৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৮৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৯৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, ২০১২ সালে ৮৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ ও ২০১১ সালে ছিল ৮৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
Comments