একাদশে ভর্তি শুরু ৮ ডিসেম্বর, ক্লাস শুরু ১ ফেব্রুয়ারি

এইচএসসি পরীক্ষা
স্টার ফাইল ছবি

আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের ভর্তির আবেদন জমা দিতে পারবেন।

তিনি বলেন, শিগগির শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং xiclassadmission.gov.bd এ ভর্তি প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানানো হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার বলেন, শিক্ষার্থীদের ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং একাদশের শিক্ষার্থীদের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে।

সাধারণত এইচএসসি ও সমমানের কোর্সের নতুন শিক্ষাবর্ষ ১ জুলাই থেকে শুরু হয়। গত বছরের মতো এ বছরও করোনা পরিস্থিতির কারণে তার পরিবর্তন হচ্ছে।

তপন কুমার বলেন, সব কলেজকে অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করতে হবে। কাউকেই ম্যানুয়ালি তালিকাভুক্ত করার অনুমতি দেওয়া হবে না।

কয়েক বছর ধরে, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে, অনলাইনের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি কলেজ এবং মাদ্রাসায় ছাত্রদের কেন্দ্রীয়ভাবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট বোর্ড একজন ছাত্রকে তাদের ফলাফল এবং পছন্দের ভিত্তিতে একটি কলেজে দেবে।

তিন ধাপে ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন, শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা মাদ্রাসায় আবেদন করতে পারবে, প্রতিটির জন্য ফি ১৫০ টাকা।

২৮ নভেম্বর প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল অনুযায়ী, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, একটি কারিগরি ও একটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৭,৪৩,৬১৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ওই দিন বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে গত বছরের মতোই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

তিনি বলেন, 'ভর্তিতে আসন সংকটের কোনো কারণ নেই। কারণ, এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর তুলনায় কলেজে আসন সংখ্যা অনেক বেশি।'

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকার এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণের অনুমতি দেওয়া হবে।

আংশিকভাবে এমপিও সুবিধা পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনের শিক্ষার্থীদের জন্য ফি সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ইংরেজি ভার্সনের জন্য সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা।

উপজেলা পর্যায়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ ফি ১ হাজার টাকা, জেলা সদরের জন্য ২ হাজার টাকা এবং অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকা।

যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উপজেলা পর্যায়ে আংশিকভাবে এমপিও সুবিধা পায় তারা নিতে পারে ২৫০০ টাকা, জেলা সদরের জন্য ৩ হাজার টাকা এবং অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ হাজার টাকা।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

7h ago