বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটু পানি, ডেঙ্গু আতঙ্ক

পটুয়াখালী স্কুল
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মধ্য গুলিআউলিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বদ্ধ পানি পার হয়ে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া করতে হয়। ছবি: স্টার

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মধ্য গুলিআউলিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বর্ষার শুরু থেকে এ বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটু পানি জমে আছে।

শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন হাঁটু পানি পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে ডেঙ্গু মশার আতঙ্কে আছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

প্রায় ৩ মাস ধরে পানি জমে থাকলেও, জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রবেশপথ ও সামনের খেলার মাঠে পানি জমে আছে। শিক্ষার্থীরা পানির মধ্য দিয়েই স্কুলে প্রবেশ করছে।

বৃষ্টি হলে চারপাশের ময়লা-আবর্জনা ভেসে এসে মাঠের পানিতে জমা হচ্ছে। স্কুলমাঠেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিচু এলাকা হওয়ায় ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায়, একটু বৃষ্টি হলেই স্কুলের সামনের মাঠসহ চারপাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।'

পটুয়াখালী স্কুল
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মধ্য গুলিআউলিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বদ্ধ পানি পার হয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যাচ্ছে। ছবি: স্টার

'শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ডেঙ্গু আতঙ্ক দেখা দিয়েছে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'বিদ্যালয়ের মাঠ উঁচু করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কোনো কাজ হয়নি।'

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডেইলি স্টারকে জানায়, পানি জমে থাকায় বিদ্যালয়ে মশার উপদ্রব। মশার ভয়ে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করেন।

নাম প্রকাশ না করে এক শিক্ষার্থী বলে, 'স্কুলে খেলার মাঠটি উঁচু করে দিলে, সেখানে খেলাধুলা করতে পারতাম। জলাবদ্ধতাও দূর হতো।'

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বর্ষায় বিদ্যালয়ের মাঠসহ আশপাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও, তা নিরসনে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয় না। পানি মাড়িয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যায়। নোংরা পানি হাত-পায়ে লাগায় তাদের চর্মরোগ হচ্ছে।'

স্থানীয় রনগোপালদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ইমাম হোসেন মাতুব্বর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকার জলাবদ্ধতার দূর করার জন্য আমরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে সমস্যাটির সমাধান হবে।'

রনগোপালদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম আসাদ্দুজামান নাসির সিকদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্কুলটির জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমরা সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'

দশমিনা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আল মামুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্কুলটির জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য সমস্যার সংবাদ পেয়েছি। সমস্যা সমাধানে সরকারি বরাদ্দের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে এর সমাধান হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

6h ago