শাহবাগের ঘটনায় ঢাবি ও চবিতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত

ছবি: স্টার

শাহবাগে জাতীয় সংগীত অবমাননা করার অভিযোগে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল শিক্ষার্থী।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেন।

আয়োজকরা জানান, গত ১০ মে শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলাকালে কয়েকজনকে জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে তারা সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার আয়োজন করেছেন।

ঢাবি ছাত্র অধিকার সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেন, 'জাতীয় সংগীতকে আমরা রবীন্দ্রনাথের লেখা হিসেবে দেখি না। এটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গান—আমাদের জাতিসত্তার আবেগ।'

ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক বি এম কাওসার বলেন, 'শাহবাগে কিছু লোক জাতীয় সংগীতকে অবমাননার চেষ্টা করেছে। এর প্রতিবাদে আমরা ভিন্ন মতাদর্শের হলেও একত্রিত হয়ে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়েছি। দেশের প্রশ্নে আমরা সবাই বাংলাদেশি।'

ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটির (সিইউবিএস) সহযোগিতায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বাবর আলী বলেন, 'ঢাকার শাহবাগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা সৃষ্টি করার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজকে শহীদ মিনারে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের আয়োজন করেছি। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপসহীন।'

ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজহারুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, 'জাতীয় সংগীত আমাদের জাতীয়তাবাদের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ কিন্তু একটি কুচক্রী মহল জাতীয় সংগীত অবমাননা করার চেষ্টা করছে। যার ফলে আমরা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।'

এ সময় মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

Comments

The Daily Star  | English

First day of tariff talks ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

1h ago