কুয়েট ভিসি, প্রোভিসি ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে বর্জনের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।  

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের নিচে শিক্ষার্থীরা তাদের বর্জনের ডাক দেয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ঘোষিত দাবিগুলো পূরণ না হওয়ায় এ বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এই তিন পদে নতুন নিয়োগের জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আজ প্রধান উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্যাম্পাসে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে এই সহিংসতায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। 
দাবিগুলো হলো: কুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতিতে যুক্ত কেউ থাকলে তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি। গতকালের সংঘর্ষে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা ও বহিষ্কারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বাইরে সামরিক বাহিনীর টহল নিশ্চিত করা। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে। ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে আজ দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা পদত্যাগ না করায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নেন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিভিন্ন ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।

পরে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পূর্বের ঘোষণা কঠোরভাবে অনুসরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এছাড়াও, গতকালের হামলায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং একইসঙ্গে সরাসরি জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করবে।

বিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন এবং ক্যাম্পাসের হলে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেন।

তারা বলেন, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অধীনে তারা কোনো ক্লাস করবেন না।

 

Comments

The Daily Star  | English

ICT case: Hasina charged with crimes against humanity

ICT prosecution pressed formal charges against Sheikh Hasina in a case filed over crimes against humanity committed during July mass uprising

41m ago