‘চাইলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’

রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্টার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যকে 'অপমানজনক' উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে মিছিল করছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

রোববার রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েক শ শিক্ষার্থী বিভিন্ন হল থেকে মিছিল শুরু করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে তারা ঢাবি ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন।

সেই সময় 'চাইলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার', 'তুই কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার'সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভরত এক শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অন্যায্য কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলায় আমাদের অপমান করা হয়েছে।'

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, এখন যে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে, এটা আমরা ডাকিনি। শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন হল থেকে এসে এই বিক্ষোভ করছেন।

ছবি: স্টার

বিক্ষোভে যোগ দেওয়া এক শিক্ষার্থী জানান, অনেক হলে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের বাধা উপেক্ষা করেই অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভে যোগ দেয়।

কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, বিজয় একাত্তর হলের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি হামলার শিকার হন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রোকেয়া হলের প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী হলের গেট ভেঙে মিছিল নিয়ে বের হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে যান। সেখান থেকে তারা শামসুন্নাহার হলের সামনে যান। পরে দুই হলের শিক্ষার্থীরা মিলে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসেন। সুফিয়া হল থেকেও শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরাও সেখানে আছেন। শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে রোববার বিকেলে বঙ্গভবনে সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা (কোটা) পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা (কোটা) পাবে? সেটা আমার প্রশ্ন।

Comments

The Daily Star  | English

No active militant presence in Bangladesh: home adviser

The reports of suspected extremists' deportation from Malaysia shows no links to local terrorist networks, he says

26m ago