কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ

শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বর্জন

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বেরিয়ে এসে শোভনের গলা টিপে ধরে গ্রিলের সঙ্গে ধাক্কা মারেন। এতে ওই শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন জাহিদুল।
পরীক্ষা বর্জন করে কলেজের মুক্তমঞ্চের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মারধর ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণের দাবিতে মিডটার্ম পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে কলেজের মুক্তমঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শিশির কুমার রায়ের কাছে ওই শিক্ষকের অপসারণে চেয়ে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।

৬৬ শিক্ষার্থী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, রোববার অনুষ্ঠিত অনার্স প্রথম বর্ষের প্রস্তুতি পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থী শোভন রেজা ক্লাসরুমের সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বেরিয়ে এসে শোভনের গলা টিপে ধরে গ্রিলের সঙ্গে ধাক্কা মারেন। এতে ওই শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন জাহিদুল।

অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা ওই বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সালেহীন বলেন, আমরা ভর্তি হয়েই শুনেছি ওই শিক্ষকের আচরণ খারাপ। এখন তার নমুনাও দেখতে পাচ্ছি। উনাকে অপসারণ না করা হলে আমরা ক্ষতির মুখে পড়ব। আন্দোলনে নামায় উনি আমাদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরও দেবেন না।

ভুক্তভোগী শোভন বলেন, স্যারের আচরণে আমি হতভম্ব। তিনি ধাওয়া করে ধরে কলার টেনে আমাকে ফেলে দেন। এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য আচরণ হতে পারে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ শিশির কুমার রায় বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments