প্রক্টরের পদত্যাগসহ ২১ দাবিতে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

গত ৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ঘোষপাড়া এলাকায় একটি ভবনের চতুর্থ তলায় ছাত্রীদের মেসের বাথরুমে জানালায় ক্যামেরা দেখতে পায় এক ছাত্রী। পরদিন ওই ছাত্রী প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। 
দাবি আদায়ে প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: মির্জা শাকিল/স্টার

প্রক্টরের পদত্যাগসহ ২১ দফা দাবিতে টানা কয়েকদিন আন্দোলনের গত দুই দিন ধরে সব ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গেইট, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তারা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার সারাদিন প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেও একইস্থানে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রক্টর, ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান ও প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

গত ২৩ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ঘোষপাড়া এলাকায় একটি ভবনের চতুর্থ তলায় ছাত্রীদের মেসের বাথরুমে জানালায় ক্যামেরা দেখতে পায় এক ছাত্রী। পরদিন ওই ছাত্রী প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলন সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা প্রক্টরের পদত্যাগসহ ২১ দফা দাবিতে ২৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘটনার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। তাই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

এদিকে প্রক্টর ড. মোজাম্মেল হক শুরু থেকেই এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে অনিচ্ছা জানান। যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য (ভিসি) ড. ফরহাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে প্রথম দিনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ও পরীক্ষায় ফিরিয়ে নিতেও কাজ চলছে।'

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে মৌখিকভাবে জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেস মালিকের ছেলের মোবাইল ফোন সেট পরীক্ষা করে কোনো ভিডিও ফুটেজ পায়নি। মেস মালিকও ঘটনা অস্বীকার করেছেন।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী নিরাপত্তা চেয়ে ২৩ মে রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

French voters deliver a win for the left, a blow for Le Pen and a hung parliament

France faced potential political deadlock after elections on Sunday threw up a hung parliament, with a leftist alliance unexpectedly taking the top spot but no group winning a majority

1h ago