ক্যাম্পাসে রাত ২টায় অস্ত্র নিয়ে রাবি ছাত্রলীগের মহড়া

ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হলে প্রবেশ করে এবং প্রায় দুই ঘণ্টা তল্লাশি চালায়।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ছাত্রলীগ নেতাদের অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগ নেতাকে আরেক ছাত্রলীগ নেতার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রাত ২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে ছাত্রলীগ।

আজ মঙ্গলবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

গত শনিবারের সংঘর্ষের পর আজ ভোররাতে হলে প্রবেশ করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ। এতে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই হলের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করেন।

সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানের অভিযোগ, 'নিয়াজ মোর্শেদ রাত ১টা ২৫ মিনিটে প্রায় ৩০-৪০ জন বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে হলে ঢোকে। এ সময় তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।'

এ ঘটনার পর ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হলে প্রবেশ করে। প্রায় দুই ঘণ্টা তল্লাশি করে প্রক্টর জানান, নিয়াজ মোর্শেদ আগেই হল ত্যাগ করেছে, তাকে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, হলের বিভিন্ন রুমে তল্লাশি করে একটি চাইনিজ কুড়ালের অংশবিশেষ ছাড়া তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, 'হলে অবস্থান করা অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অস্থিতিশীল পরিবেশ অচিরেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।'

গত শনিবার রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সভাপতি ও সহ-সভাপতির মধ্যকার দ্বন্দ্বে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় দফায় দফায় রামদা ও লাঠিসোঁটা হাতে একাধিকবার হলে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

রাবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

সংঘর্ষ শুরুর প্রায় তিন ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অন্যান্য শিক্ষক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত করেন।

 

Comments