শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, জবি ছাত্রী ডিবিতে

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনায় হত্যা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পেয়েছেন অভিযোগ করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় নিরাপত্তা চেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় সোমবার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি আবেদন করেন।

ওই শিক্ষার্থী জানান, ২০১৯ সালে ওই শিক্ষক তার নিজের প্রোডাকশন হাউসে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন। পরবর্তীতে আরও কয়েকবার ওই শিক্ষক তাকে যৌন হয়রানি করেছেন।

'নিজেকে কীভাবে রক্ষা করে আবার ক্যাম্পাসে ফিরেছি তা বলতে পারবো না। তার আক্রোশ থেকে আমি বের হতে পারিনি। আমি যখন তার কোর্সের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে যাই, তখনো তিনি আমাকে স্পর্শ করেছেন,' বলেন তিনি।

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, 'ভালো পরীক্ষা দেওয়ার পরেও অনৈতিকভাবে আমাকে দুইবার ফেল করানো হয়। আমাকে ৫০ এর মধ্যে তিন নম্বর দেওয়া হয়; শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য।

'২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। উল্টো দুইটি তদন্ত কমিটির কাছে তিনবার সাক্ষাৎকার দিতে হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই শিক্ষক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই শিক্ষার্থী যে অভিযোগটি করেছে, সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।'

তিনি বলেন, 'অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করে এবং দীর্ঘ দুই বছর পরে কমিটি রিপোর্ট দেয়। ওই রিপোর্টের বিরুদ্ধে আমি হাইকোর্টে মামলা করি এবং জয় লাভ করি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে, যেটা এখনো বিচারাধীন।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে সভা করা হয়েছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল, এখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, 'আমি জানি না কখন আমাকে হত্যা করা হবে। শুধু আমাকে নয়, আমার পরিবারকেও তারা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে, হয়রানি করছে। আমি নিজেকে বাঁচাতে এই অভিযোগ দায়ের করেছি।'

অভিযোগ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশীদ বলেন, ডিবির সাইবার টিম বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

10h ago