১১২ বছরেও নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের

বাগেরহাট সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট। ছবি: স্টার

১১২ বছরেও নিজস্ব ক্যাম্পাস পায়নি বাগেরহাট সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট। স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শিক্ষক ও কর্মচারী সংকটেও দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, ১৯১১ সালে বাগেরহাট শহরের আলিয়া মাদ্রাসা রোড এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় প্রতিষ্ঠিত হয় এ কারিগরি প্রতিষ্ঠান।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট রাখা হয় এবং তখন থেকে এটি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলছে।

২০০৪ সাল থেকে শহরের দশানী এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটির ৪টি ট্রেডের (বিষয়) অধীনে মোট ১৬০টি আসন আছে। ট্রেডগুলোতে শিক্ষার্থীরা পোশাক তৈরি, তাঁত, সোয়েটার-টি-শার্ট তৈরি এবং রং করা, প্রিন্টিং ও ফিনিশিংয়ের কাজ শিখতে পারে। অর্থাৎ এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যবহারিক শিক্ষা।

অথচ, সার্কুলার নিটিং মেশিন, উইভিং এয়ার জেট লুম, ডাইং মেশিনের মতো বেশ কিছু মেশিন ভাড়াবাড়িতে বসাতে না পারায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

অন্যদিকে, শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীর মোট ১৭টি পদের মধ্যে বর্তমানে সুপারিনটেনডেন্টসহ ৫টি পদ শূন্য আছে। প্রশিক্ষকের ১টি, ২টি সহকারী শিক্ষক ও ১ জন কারিগরি সহকারীর পদ শূন্য।

প্রতি বছর এ ইনস্টিটিউট থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি সমমানের কারিগরি বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও, এ বছর অংশ নেয় মাত্র ৩৮ জন।

প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৮ জন। নবম শ্রেণিতে ৬৯ জন ও দশম শ্রেণিতে ২৯ জন।

এখানে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ব্যবস্থা ও শ্রেণীকক্ষ একই ভবনে। নেই কোনো খেলার মাঠ।

অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শিক্ষার্থী শ্রাবনী দেবনাথ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রয়োজনীয় জায়গার অভাবে বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি বসানো না থাকায় আমরা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।'

আরেক শিক্ষার্থী তামিম হাসান বলেন, 'খেলাধুলার জন্য আমাদের কোনো খেলার মাঠ নেই। আর এখান থেকে বের হয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে হয় বরিশাল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ অথবা খুলনায়।'

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত সুপার মাকসুদুল হাসান সুমন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে শিগগিরই চিঠি দেওয়া হবে। নিজস্ব ক্যাম্পাস পেলে সব সমস্যা সমাধান করা যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Injured uprising protesters block Mirpur Road

Injured protesters from last year's mass uprising blocked Mirpur Road demanding medical treatment and rehabilitation

1h ago