রাবি প্রশাসনের মামলায় গ্রেপ্তার বাস কাউন্টারের কর্মচারী

রাবির মূল ফটকের সামনে রাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান। স্টার ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতের নাম তসলিম আলী ওরফে পিটার (৪৫)। তিনি একটি বাসের কাউন্টারের চেইনমাস্টার।
  
আজ রোববার বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার রফিকুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, মতিহার থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মারধর, হামলা, গুরুতর জখম করার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।

এর আগে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষকে 'অপ্রীতিকর' উল্লেখ করে এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও পুলিশের ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন।

এ ঘটনায় মতিহার থানায় মামলা দায়েরের কথা উল্লেখ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিনোদপুর গেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছুসংখ্যক এলাকাবাসীর যে অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হয়, তাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মর্মাহত। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিনোদপুর গেট সংলগ্ন এলাকায় কতিপয় এলাকাবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। ঘটনার একপর্যায়ে পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপের ফলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এলাকাবাসী ও পুলিশের কতিপয় সদস্যের এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। অনভিপ্রেত এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিবৃতিতে দাবি জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

 

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

7h ago