দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে আর ফিরতে চান না ফুলপরী, সিট চাইবেন অন্য হলে

ফুলপরী
ফুলপরী। ছবি: স্টার

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নির্যাতনের শিকার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন আর ওই হলে ফিরতে চান না। 

ভয়াবহ ওই স্মৃতি ভুলে নতুন করে আবার পুরোদমে লেখাপড়া শুরু করতে এবার তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে সিটের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ফুলপরী এসব কথা জানান।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে সিট পেতে আবেদন করতে এবং মাইগ্রেশনের কাজ করতে আগামীকাল শনিবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

ফুলপরী বলেন, 'ওই হলে নির্যাতনের দুঃসহ স্মৃতি সবসময় আমাকে তাড়িয়ে বেড়াবে, যখন ওই রুমের সামনে যাব, যখন ওই ডাইনিংয়ের সামনে যাব।'

'নির্যাতনের দুঃসহ স্মৃতি ভুলে আমি নতুন উদ্যমে লেখাপড়া করতে চাই। এজন্য আর ওই হলে ফিরতে চাই না,' বলেন তিনি।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি আলাপ করেছেন। 

'স্যার ও ম্যাডাম আমাকে আমার পছন্দ অনুযায়ী সিট বরাদ্দের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন,' যোগ করেন তিনি। 

ফুলপরী আরও বলেন, 'আমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে সিট বরাদ্দের জন্য আবেদন জানিয়ে সিট মাইগ্রেশনের কাজ করতে শনিবার আবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে যাব। সিট বরাদ্দ পাওয়ার পর দ্রুতই আমি ক্যম্পাসে ফিরতে চাই। আবার শুরু করতে চাই নতুন করে।'

গত ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা, তাবাসুমসহ আরও কয়েকজন ফুলপরীকে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। 

এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার শিবপুর গ্রামে বাড়িতে ফিরে যান ফুলপরী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির কাছে বিবৃতি দিতে কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছেন তিনি।

ঘটনাটি নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা শুরু হলে হাইকোর্টের আদেশের পর ইবি কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে অভিযুক্ত সানজিদাসহ ৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করে এবং হল প্রভোস্টকে অব্যাহতি দেয়।

এছাড়া, আদালতে আদেশ অনুযায়ী ফুলপরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাবনা ও কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারকে চিঠিও দেয় ইবি কর্তৃপক্ষ। 

জানতে চাইলে ইবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদাত হোসেন আযাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইতোমধ্যে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নতুন হলে সিট বরাদ্দের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ফুলপরীর সঙ্গে কথা বলবেন এবং তার পছন্দমতো ছাত্রাবাসের প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলে সিটের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।'

ফুলপরী আগামীকাল শনিবার ক্যাম্পাসে যাওয়ার বিষয়ে তাকে জানিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর। 

ফুলপরীর নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইতোমধ্যে ফুলপরীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি যখন ক্যাম্পাসে যাবেন, আমরা তার নিরাপত্তা দেবো।'

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

3h ago