বঙ্গবন্ধু, দেশ ও জাতির গৌরবগাঁথা ইতিহাস শিক্ষার্থীদের জানতে হবে: ঢাবি উপাচার্য

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ১৫ আগস্ট, কলাভবন,
বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক বটতলায় ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, শিক্ষার্থীরা যে বিষয়েই অধ্যয়ন করুক না কেন তাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশ ও জাতির গৌরবগাঁথা ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মহৎ অর্জন সম্পর্কে জানতে হবে।

জাতিরাষ্ট্র গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য অবদান তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, 'সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিতে হবে।'

আজ বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক বটতলায় 'পতাকা উত্তোলন দিবস' উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব বলেন উপাচার্য।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী, জাতীয় ৪ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে উপাচার্য বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তৎকালীন ছাত্র নেতারা ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন সংলগ্ন ঐতিহাসিক বটতলায় মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সব আন্দোলন-সংগ্রামের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।'

'একটি জাতিরাষ্ট্র বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গৌরবগাঁথা অবদান বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক বিরল দৃষ্টান্ত। দেশের ইতিহাস চর্চা এবং ইতিহাসের অকাট্য দলিল নতুন প্রজন্মের মাঝে জীবন্ত রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা উত্তোলন দিবস উদযাপন অব্যাহত থাকবে,' বলেন তিনি।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ পতাকা উত্তোলনের পটভূমি তুলে ধরে বলেন, 'দেশের গৌরবময় ইতিহাস ও অর্জন প্রজন্ম পরম্পরায় বহন করে নিতে হবে। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং সেইদিনই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত হরতাল পালনের নির্দেশ দেন। কার্যত তখন থেকে বঙ্গবন্ধুর কথায় তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান পরিচালিত হয় এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাঙালি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।

বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবন সংলগ্ন বটতলা প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago