নোবিপ্রবি

শ্রেণিকক্ষ বাড়ানোর দাবিতে ২ সপ্তাহ ধরে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

নোবিপ্রবি
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ক্লাসরুম সংকটের প্রতিবাদে ও নতুন শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দের দাবিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত দুই সপ্তাহ ধরে ক্লাস বর্জন ও শ্রেণি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করছেন।

এর আগে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগের নামে শ্রেনিকক্ষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন। 

এর আগে গত মাসে একই দাবিতে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন।

নোবিপ্রবি ফার্মেসি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে বিভাগে ৬টি ব্যাচে ১ হাজার দুইশ এর বেশি শিক্ষার্থী আছেন। তাদের জন্য মাত্র দুটো শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ। যা প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রতুল। এতে করে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

আন্দোলনরত ফার্মেসি বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে। তারা জানান সহাস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র দুটো শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ থাকায় তারা নিয়মিত ক্লাস করতে পারছেন না।

দীর্ঘদিন থেকে শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য প্রোকটোরিয়াল বডি ও উপ-উপাচার্যের কাছে গিয়েও সমস্যা মেটেনি। আশ্বাস দিচ্ছেন কিন্তু বাস্তবায়ন করছেন না।তাই বাধ্য হয়েই আমরা গত দুই সপ্তাহ যাবত ক্লাসবর্জন করে প্রতিবাদ করছি।

তারা বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন আরেকটি ব্যাচ ভর্তি হবে। নতুন শিক্ষার্থীরা আসার পর সংকট আরও বাড়বে।

কাল পর্যন্ত সমাধান না হলে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, গত দুই সপ্তাহ ক্লাস বর্জনের কারণে ক্লাস টেস্ট, ব্যবহারিক ও লিখিত পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 'আমরা দ্রুত এ সংকট থেকে মুক্তি চাই।'

ফার্মেসি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল বাশার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ৬টি ব্যাচের ১৩শ শিক্ষার্থীর জন্য দুটি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার মৌখিক ও লিখিতভাবে আবেদন করেও কোনো সমাধান হয়নি। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে তাদের পড়াশোনায় চরম বিঘ্ন ঘটছে।

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আতিকুর রহমান ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ফার্মেসি বিভাগে কোনো সমস্যা নেই। কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন। কী সমাধান করেছে জানতে চাইলে তিনি তার কোনো উত্তর দেননি। নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রক্টর অধ্যাপক নেওয়াজ মোাহাম্মদ বাহাদুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শিক্ষার্থীরা জানানোর পর ক্লাসরুম বরাদ্দ দিতে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা সময় দিতে রাজি না হয়ে আন্দোলন করছে। খুব শিগগির ফার্মেসি বিভাগে শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ জন্য কাজ চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

Is the govt backing the wrongdoers?

BNP acting Chairman Tarique Rahman yesterday questioned whether the government is being lenient on the killers of a scrap trader in front of Mitford hospital due to what he said its silent support for such incidents of mob violence.

2h ago