ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

কার্যালয়ে ছাত্রলীগের তালা, বাসায় অফিস করছেন উপাচার্য

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া তালা ২ দিনেও খোলা যায়নি। বাধ্য হয়ে বাসা থেকেই অফিস করছেন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সালাম।

গত সোমবার উপাচার্যের কণ্ঠসদৃশ অডিও ক্লিপ ফাঁসের জের ধরে তার অফিস রুমে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করতেন। 'অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদে'র ব্যানারে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের চাকরির দাবি জানিয়ে আসছেন।

তাদের এই আন্দোলন চলছে গত ৩ বছর ধরে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারীর আমলে (২০১৬-২০২০) প্রায় ২০০ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদেরকে দৈনিক হিসাবে 'থোক বরাদ্দে'র মাধ্যমে মজুরি পরিশোধ করা হতো।

এই ব্যবস্থা আইন পরিপন্থী হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আপত্তি জানায়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে নতুন প্রশাসন এই অনিয়মতান্ত্রিক অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দিলে আন্দোলনে নামেন এই কর্মীরা। তারা মাঝে মাঝেই ক্যাম্পাসে এসে বিভিন্নভাবে আন্দোলন করার চেষ্টা করেন।

সম্প্রতি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে  ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনার পর ক্যাম্পাসে অস্থিরতা তৈরি হয়।  এর মধ্যে গত রোববার উপাচার্যের নিয়োগ অনিয়ম সংক্রান্ত কয়েকটি অডিও প্রকাশ হয়। এরপরই এই চাকরিপ্রত্যাশীরা গত সোমবার ক্যাম্পাসে এসে উপাচার্য অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন।

এই ঘটনার নেতৃত্ব দেন রাসেল জোয়ার্দ্দার ও মিজানুর রহমান টিটু। তারা ২ জনই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।

গতকাল তালা ভেঙে ফেলা হলেও আজ সকালে আবার তারা তালা ঝুলিয়ে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ জানান, তারা শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, যে প্রক্রিয়ায় সরকারি অর্থে তাদের মজুরি দেওয়া হচ্ছিল, তা নিয়ম বহির্ভূত। কোনোভাবেই ইউজিসি তা মানেনি। এই কারণেই প্রশাসন তা বাতিল করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, 'সরকারি নিয়মের মধ্যে পড়ে না, এমন অর্থ কীভাবে নিয়মিত ছাড় করব? বর্তমান প্রশাসন খুবই আর্থিক চাপে রয়েছে।'

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, 'চাকরির জন্য নিয়মতান্ত্রিক পথ রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমি বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছি। তারা একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। তাদেরকে সহানুভূতি আদায় করে নিতে হবে। কিন্তু তা না করে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এটা অনুচিত।'

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

4h ago