রুয়েটের ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তার কাছে ‘কাফনের কাপড়’

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ৫ শিক্ষক ও ৪ কর্মকর্তাকে দুই টুকরো সাদা কাপড় পাঠানো হয়েছে।

সাদা কাপড়ের ওই দুই টুকরা মরদেহ দাফনের জন্য ব্যবহৃত কাপড় বলে আশঙ্কা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।

বুধবার এ ঘটনায় মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে রুয়েট কর্তৃপক্ষ।

যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার নামে সাদা কাপড় পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রবিউল আউয়াল, সহ-সভাপতি অধ্যাপক জগলুল সাদাত, অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম শেখ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেন এবং উপপরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ ও সেকশন অফিসার মো. রাইসুল ইসলাম।

'সচেতন নাগরিক সমাজ' এর ব্যানারে সরকারি ডাক সেবার মাধ্যমে চিঠিগুলো তাদের অফিসে পাঠানো হয়।

আজ বুধবার রাতে রুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলরের কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

তারা বলেন, 'এই চিঠিগুলোর সঙ্গে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের যোগাযোগ থাকতে পারে, যারা এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ তাদের টার্গেটেড গ্রুপকে এ ধরনের চিঠি পাঠিয়েছে।'

রুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন, '৬ ডিসেম্বর রুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘটিত একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে এর সংযোগ থাকতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।'

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত ৬ সদস্যের পরিদর্শন কমিটি গত ৬ ডিসেম্বর কয়েকটি দপ্তর পরিদর্শনে করেন। সেসময় তারা দেখেন কয়েকজন কর্মকর্তা পূর্ব অনুমতি ছাড়াই তাদের অফিসে অনুপস্থিত থাকছেন। এ নিয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা তখন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

'যে ৯ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা চিঠি পেয়েছেন তাদের মধ্যে ৫ জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago