বশেফমুবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

সংঘর্ষের পর বিকেলে ছাত্রলীগের একটি অংশ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের মেলান্দহে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মির্জা আজম হলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিকেলে ছাত্রলীগের একপক্ষ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। 

আরও সংঘর্ষ এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ফিশারিজ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এহসানুল হক ইরফান এবং সমাজকর্ম বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মির্জা আজম হলের ১০১ নম্বর কক্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

কাউছার আহমেদ স্বাধীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১০১ নম্বর রুমে মাদকাসক্ত এক শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।'

এহসানুল হক ইরফান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কর্মী শাকিল আহমেদকে কাউছারের কর্মীরা মারধর করায় সংঘর্ষ বাধে।'

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল মাননান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংঘর্ষের ঘটনাটি মধ্যরাতে ঘটে। ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।'

জানতে চাইলে ওসি দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

Comments

The Daily Star  | English

4 years could be maximum one can go before election: Yunus tells Al Jazeera

Says govt's intention is to hold election as early as possible

30m ago