টিএসসিতে ছাত্রীদের বাথরুমে ছাত্রলীগ নেতা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির অভিযোগ

ছাত্রলীগ নেতা তানজিন আল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রীদের বাথরুমে ঢুকে অশালীন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত তানজিন আল আমিন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার সময় ছাত্রলীগ নেতা তানজিন মাতাল অবস্থায় ছিলেন বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

ছাত্রীদের বাথরুমে ঢোকার কথা স্বীকার করলেও তানজিনের দাবি তিনি ভুল করে সেখানে গিয়েছিলেন।

অভিযোগে ওই ছাত্রী বলেছেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানজিন আল আলামিন মদ্যপ অবস্থায় নারীদের ওয়াশরুমে প্রবেশ করে অর্ধনগ্ন অবস্থায় আমার দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন। অভব্যতার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে তানজিন ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন 'দেখে নেওয়ার' হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান।

হুমকি ও হয়রানির বিচার চেয়ে ওই ছাত্রী বলেন, টিএসসি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মাতাল অবস্থায় ছাত্রীদের বাথরুমে ঢোকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তানজিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ভুল করে মেয়েদের ওয়াশরুমে ঢুকেছিলাম। বুঝতে পেরে দ্রুত বের হয়ে ছেলেদের ওয়াশরুমে যাই। ওই ছাত্রী এবং তার বন্ধুদের কাছে একাধিকবার দুঃখ প্রকাশ করেছি। ক্ষমা চেয়েছি। ক্ষমা চাইতে এখনো তার কাছে যাব।'

মদ্যপ অবস্থায় থাকার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, পুরো ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে।

সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।'

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

7h ago