যুবককে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ ঢাবি ছাত্রলীগের ২ কর্মীর বিরুদ্ধে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে এক যুবককে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী যুবক প্রজিত দাস।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিসি চত্বরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে।

তবে, অভিযোগটি এখনো মামলা হিসেবে নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার।

তিনি জানান, ঘটনাটি যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপপরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দিনকে।

অভিযোগপত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তুষার হোসেন এবং শামীমুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা দুজনই মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং মাস্টার দা সূর্যসেন হলে থাকেন।

অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রজিত মোটরসাইকেল চালিয়ে পলাশী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) উদ্দেশে ভিসি চত্বর দিয়ে যাচ্ছিলেন। ভিসি চত্বরে পৌঁছানোর পর তুষার ও শামীমুলসহ ৫-৬ জন তার মোটরসাইকেল থামিয়ে লাঠিসোঠা নিয়ে প্রজিতকে গালিগালাজ করে তার ব্যবহৃত আইফোন এবং মোটরসাইকেল নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি প্রতিবাদ করেন।

এক পর্যায়ে অভিযুক্ত দুজনের সঙ্গে থাকা কয়েকজন তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এতে তিনি মুখ এবং কানে আঘাত পান। অভিযুক্ত তুষার হোসেন তার কানে থাপ্পড় মারলে কানের পর্দা ফেটে যায়। এরপর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা তার মোটরসাইকেল এবং ৩০ হাজার টাকা মূল্যের আইফোন এবং সঙ্গে থাকা ১৭ হাজার টাকাসহ তাকে সূর্যসেন হলের গেস্টরুমে নিয়ে যান। পরে সেখানে আরেক দফা মারধরের পর তাকে খালি হাতে ছেড়ে দেয়, বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে, ছিনতাইয়ের ঘটনা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত তুষার হোসেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভিসি চত্বরে প্রজিতের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। তার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় সূর্যসেন হলের সামনে। প্রজিত আমার হলের সামনে মোটরসাইকেল নিয়ে আসে। তার বড় ভাই আমাকে নেওয়ার জন্য তাকে আমার হলে পাঠিয়েছে। কারণ প্রজিতের বড় ভাইয়ের সঙ্গে আমার বেশ কয়েকদিন ধরে মনোমালিন্য চলছে।'

'তিনি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই। বিষয়টি মিটমাট করতে আমি প্রজিতের বড় ভাইকে ফোন দিয়ে বলি যে, আমি তার সঙ্গে দেখা করবো। আমি কোথায় আসবো। তখন তিনি আমাকে বললেন, তোর আসার দরকার নাই। আমি একটি গাড়ি পাঠাচ্ছি,  তুই আয়। এরপর তিনি তার ছোট ভাইসহ একটি বাইক পাঠিয়েছেন। এরপর প্রজিতের সঙ্গে আমার দেখা হয়।'

তুষার বলেন, 'তখন প্রজিত আমাকে বলে তার বড় ভাই আমাকে তুলে নিয়ে যেতে বলেছে। তখন স্বাভাবিকভাবে আমার আশপাশে লোকজন জড়ো হয় এবং একটু হাতাহাতি হয়েছে, এটা আমি অস্বীকার করছি না।'

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধরের পর মোটরসাইকেল, মোবাইল এবং টাকা রেখে দেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এক ঘটনার বাদীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি, তাকে পাইনি। অভিযোগ এখনো মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে উপপরিদর্শক সাহাবুদ্দিনকে বাদী এবং বিবাদীর সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

'State intelligence agency' is attempting to form political party, Rizvi alleges

Doubts are growing as to whether there are subtle efforts within the government to weaken and break the BNP, he also said

1h ago