উৎক্ষেপণের পর বিস্ফোরিত হলো স্পেসএক্সের স্টারশিপ

স্টারশিপ
টেক্সাসে উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পর বিধ্বস্ত হয় স্পেসএক্সের রকেট স্টারশিপ। ছবি: এপি

স্পেসএক্সের বহু আলোচিত শক্তিশালী রকেট স্টারশিপ উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পর আকাশে বিস্ফোরিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে স্পেসএক্সের নিজস্ব রকেট উৎক্ষেপণস্থল স্টারবেজ থেকে মনুষ্যবিহীন রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। 

১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্টারশিপ এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট। স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এক দশক ধরে এর সক্ষমতা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন।

স্টারশিপের প্রথম উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হওয়ার পর মাস্ক টুইটারে বলেছেন যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পরবর্তী পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হবে।

বার্তাসংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, উৎক্ষেপণের পর স্টারশিপের একাধিক ইঞ্জিন কাজ করছিল না। ৪ মিনিটে প্রায় ৩৯ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছানোর পর রকেটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিস্ফোরিত হয় এবং মেক্সিকো উপসাগরে পতিত হয়।

কিন্তু, স্টারশিপ রকেটটির অবশ্য উৎক্ষেপণের পর ১৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করার কথা ছিল এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রদক্ষিণ শেষে এটির হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে পতিত হওয়ার কথা।

স্পেসএক্স ওয়েবকাস্ট করে উৎক্ষেপণের ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, পৃথক দুটি অংশের সমন্বয়ে তৈরি রকেটটি উড্ডয়নের সঙ্গে সঙ্গে মেঘের ভেতরে চলে যায়। অংশ দুটি আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, তা হয়নি এবং দুটি অংশ একসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়।

স্পেসএক্সের কর্মীরা অবশ্য এতে আশাহত হননি। তারা স্টারশিপের এ পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণকে 'সফল' উল্লেখ করে উদযাপন করেছেন।

স্পেসএক্সের প্রধান ইন্টিগ্রেশন ইঞ্জিনিয়ার জন ইনসপ্রুকার ওয়েবকাস্টে ধারাভাষ্যে বলেন, আজকের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ স্টারশিপের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে।

মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর উদ্দেশে স্টারশিপ তৈরি করা হয়েছে বলে স্পেসএক্স জানিয়েছে।

নাসা চাঁদের কক্ষপথে মহাকাশচারীদের পাঠাতে স্টারশিপ ব্যবহার করতে চেয়েছে এবং ইতোমধ্যে স্পেসএক্সের সঙ্গে এ বিষয়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করেছে।

স্টারশিপের দুটি অংশ হলো-৩৩ ইঞ্জিনের বিশালাকার রকেট সুপার হেভি বুস্টার এবং বুস্টারের উপরে স্টারশিপ স্পেসক্রাফট।

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Bangladesh is one of those nations that face pressure from Washington to decouple their manufacturing industries from Chinese suppliers, according to officials familiar with trade negotiations.

12h ago