বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনে প্রেরণার উৎস জগদীশচন্দ্র বসু
প্রখ্যাত বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে বাংলা একাডেমি। আজ মঙ্গলবার সকালে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে জগদীশচন্দ্র বসু : মিথ, সত্য এবং প্রাসঙ্গিকতা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এই বিষয় আলোচনা করেন শিক্ষক, লেখক এবং বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মী সফিক ইসলাম। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. মো. হাসান কবীর। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সচিব ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. লোকমান।
সফিক ইসলাম বলেন, জগদীশচন্দ্র বসুর পূর্ণাঙ্গ পরিচয় আমরা এখনও নির্মাণ করতে পারিনি। উদ্ভিদের প্রাণ এবং রেডিও আবিষ্কার সংক্রান্ত মিথে আমরা ঘুরপাক খাই। আধুনিক বিজ্ঞানবিশ্বে তিনি রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত। একই সঙ্গে জৈব পদার্থবিজ্ঞান নামে বিজ্ঞানের নুতন শাখায় তাঁর অভিনিবেশ এক অনন্য ঘটনা। তিনি বস্তু ও উদ্ভিদের সঙ্গে মানুষের এতকালকার প্রভেদ দূর করে বিজ্ঞানে প্রগতিশীল ধারার সঞ্চার করেন। অধিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যায় তার আবিষ্কার ও পর্যবেক্ষণ মৌলিক এবং যুগান্তসঞ্চারী।
ড. মো. হাসান কবীর বলেন, জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞানবিশ্বের এক বিস্ময়-মানব। তার উদ্ভাবন বিশ্ব বিজ্ঞান- আন্দোলনে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। তার মতো মনীষীর অবদান কখনও বিস্মৃত হওয়ার নয়।
এ এইচ এম লোকমান বলেন, জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনের পথে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। তিনি বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। মানবকল্যাণে বিজ্ঞানের ব্যবহারের পথ প্রদর্শন করে তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
Comments