ভিপিএন কি নজরদারির বাইরে

ভিপিএন কি নজরদারির বাইরে
ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তিকেন্দ্রিক বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের মতো উন্মুক্ত প্লাটফর্মে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখতে বিশ্বব্যাপী ভিপিএনের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে।

সম্প্রতি জঙ্গি ছিনতাইকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে আলোচনায় আসে ভিপিএন। সিআইডি প্রধান বলেন, 'ভিপিএন ব্যবহার করলে ওইখানে আমাদের সক্ষমতার সমস্যা আছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করলে অনেক কিছু আমাদের আওতার মধ্যে থাকে। যখন ভিপিএন ব্যবহার করা হয় তখন অনেক সময় সক্ষমতার বাইরে চলে যায়।'

বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে এসে ভিপিএনের আবির্ভাব ঘটে। বর্তমানে আনুমানিক ৫০০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, যার মধ্যে অন্তত ১২০ কোটি ব্যবহারকারী ভিপিএন এর মাধ্যমে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকে সুরক্ষিত রাখছেন। ব্যবহারকারীর সঙ্গে ভিপিএনের বাজার পরিসংখ্যানও চমকে দেওয়ার মতো। 

স্ট্যাটিস্টার পরিসংখ্যান মতে, ২০২২ সালে ভারতে ভিপিএনের বাজার ছিল ১১ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীনে ভিপিএনের বাজার প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমান হারে ভিপিএন ব্যবহার চলতে থাকলে ২০২৭ সালের শেষে বৈশ্বিক ভিপিএন বাজারের আকার দাঁড়াবে ১০৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে।

ভিপিএন ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারত। তবে, গ্লোবাল ওয়েব ইনডেক্সের প্রকাশিত ২০১৮ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ ভিপিএন ব্যবহারকারী নিয়ে তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে ছিল মালয়েশিয়া। 

মূলত নিরাপত্তার স্বার্থেই ভিপিএন ব্যবহার করা হলেও স্ট্রিমিং, গোপনীয়তা, গেমিং, ভ্রমণ, এবং নিষিদ্ধ সাইট ও কন্টেন্টে অ্যাক্সেস পেতেও ভিপিএন ব্যবহার করা হয়। শুরুতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়েই বেশি ব্যবহার করা হয়। 

স্ট্যাটিস্টার একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০২২ সালের প্রথমার্ধে বিশ্বব্যাপী ম্যালওয়্যার হামলা হয়েছিল ২৮০ কোটির বেশি, ২০২১ সালে ছিল ৫৪০ কোটি এবং ২০১৮ সালে এই ১ হাজার ৫০ কোটির বেশি হামলা হয়েছিল। 

ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তা ও মানুষের দৈনন্দিন কাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মানুষকে হ্যাকারদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলেছে। ভিপিএনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্যকে সুরক্ষিত করে। যার ফলে হ্যাকারদের পাশাপাশি অন্যত্র চিহ্নিত হওয়া থেকেও তাদের নিরাপদ রাখে। ইন্টারনেট একটি উন্মুক্ত স্থান, যেখান থেকে যে কেউ যেকারও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। ফলে, এমন একটা ঝুঁকি থেকে নিজেদের সুরক্ষিত করার প্রবণতা বেড়েছে, যা ভিপিএন এর ক্রমবর্ধমান বাজারের আকৃতিতেই স্পষ্ট।

ভিপিএন কী?

ভিপিএন এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। ভার্চুয়াল মানে কাল্পনিক, ভিপিএন ইন্টারনেটের একটি ভার্চুয়াল 'টানেল' যার মাধ্যমে ডাটা কম্পিউটার থেকে আদান-প্রদান করতে পারে। অর্থাৎ ভিপিএন হচ্ছে এমন এক কাল্পনিক প্রাইভেট নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে নিরাপদে তথ্য আদান প্রদান করা হয়। 

ব্যবসা-বাণিজ্যিক প্রাইভেট নেটওয়ার্কগুলোকে নিরাপদে সংযুক্ত করার জন্য ভিপিএনের বিকল্প নেই। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, 'করপোরেট আমেরিকা দীর্ঘকাল ধরে তাদের গোপনীয়তা রক্ষায় ভিপিএন ব্যবহার করে এসেছে। তখন ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যবহারের জন্যে ভিপিএন প্রযুক্তি এত সহজ ছিল না'। বর্তমানে ইন্টারনেটের বৈপ্লবিক উত্থানে ভিপিএনের প্রয়োজন এবং ব্যবহার বেড়েছে।

ভিপিএন কীভাবে কাজ করে?

ফোর্বসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্টারনেট সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ছিল তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা। যেখানে নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আবিষ্কার নকশা অনুযায়ী, ইন্টারনেটের সৃষ্টিই হচ্ছে অনিরাপদ কৌশলের ওপর ভিত্তি করে। তাই ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৯০ দশকে ভিপিএনের আবির্ভাব ঘটে। 

যখন কেউ তার ডিভাইসে (হতে পারে সেটা ডেস্কটপ, কিংবা স্মার্টফোন) ভিপিএন সেবা চালু করে তখন ভিপিএন নেটওয়ার্কের একটা অংশ ব্যবহারকারীর ডিভাইসের সঙ্গে একটা সুরক্ষিত সংযোগ স্থাপন করে। রিমোট সার্ভার বলতে, একজন ব্যবহারকারীর অবস্থান ভিপিএনের মাধ্যমে লুকিয়ে রাখা যায় এই রিমোট সার্ভারের মাধ্যমে। 


 
বাংলাদেশে বসেও ইন্টারনেট প্রোটোকল (আইপি) ঠিকানা বা অবস্থান আমেরিকায় দেখানো সম্ভব। আর এজন্য ভিপিএন সহায়তা নেয় ব্যবহারকারীর ডিভাইসের আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার)-এর মতো কোনো মধ্যস্থ ব্যক্তির। ফলে, ভিপিএন চালু রাখা ডিভাইসটির আসল পরিচয় বা অবস্থান নির্ধারণ করা সাধারণত অসম্ভব।

বিজনেস ইনসাইডারের মতে, প্রচলিত ভিপিএনগুলোর অধিকাংশই দাবি করে যে তাদের ভিপিএন কোনো সার্ভার লগ রাখে না। যার অর্থ হচ্ছে, এই ভিপিএন ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট ব্যবহারের কোনো তথ্য বের করা অসম্ভব। ভিপিএন যদি ব্যবহারকারীর সার্ভার লগ তথ্য না রাখে তাহলে সেই ব্যবহারকারীকে ট্র্যাক করা সরকারি-বেসরকারি কোনো সংস্থার পক্ষেই সম্ভব না। তাই, যারা ভিপিএন ব্যবহার করে নিজেদের তথ্য গোপন করতে চায় তাদের ভিপিএন প্রোভাইডার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্যই থাকে ভিপিএনটি সার্ভার লগ সংরক্ষণ করে কি না।

ভিপিএনের সুবিধা

চলতি বছর জুলাই মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। বিশ্বে এই সংখ্যাটা ৫০০ কোটির বেশি। অর্থাৎ, ইন্টারনেট নির্ভরশীলতার ফলে দৈনন্দিন সব কাজের সঙ্গে ইন্টারনেট জড়িয়ে গেছে। আর ইন্টারনেটের সঙ্গে জড়িত ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি)। যাদের কাছে ব্যবহারকারীর ব্রাউজিং বা সার্ফিং তথ্যের সবকিছুতেই অ্যাক্সেস থাকে। গ্রাহক হবার ফলে এসব প্রতিষ্ঠান ব্যবহারকারীকে ব্যক্তিগতভাবেও চিহ্নিত করতে পারে। ভিপিএন ব্যবহারের ফলে নিজের পরিচয় ও ব্রাউজিং তথ্য গোপন রাখা যায়।

ফোর্বসের মতে, অনেক আইএসপি, অধিকাংশ অ্যাপস এবং ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বেসরকারি সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের কাছে বিক্রি করে না বলে দাবি করলেও বাস্তবতা ভিন্ন। মুনাফার জন্যে তারা তথ্য বিক্রি করে। সরকারের কাছে আইএসপি প্রোভাইডার তথ্য প্রদানে করতে তারা অনেক সময় বাধ্য। তাই সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নিজেদের ডাটা সুরক্ষায় ভিপিএন ব্যবহৃত হয়।

ইন্টারনেট সংযোগের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার। বিভিন্ন কফি-শপ, শপিং-মল, স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থানে পাবলিক ওয়াইফাই সুবিধা থাকে। বিনামূল্যে এবং অনেক ক্ষেত্রে বিকল্প না থাকায় ব্যবহারকারীরা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়। যেখানে ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড, লগ-ইন ক্রেডেনশিয়ালস, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বিবরণ, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য এবং ব্যক্তিগত সংবেদনশীল তথ্যে হ্যাকারদের কাছে খুব সহজ অ্যাক্সেস প্রদান করে। ভিপিএনের মাধ্যমে এসব থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব।

চীন, রাশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। এসব দেশের কড়া অনলাইন সেন্সরশিপের ফলে ভিপিএন ব্যবহারের হারও সবচেয়ে বেশি। পর্নোগ্রাফিসহ অনেক ওয়েবসাইট, অ্যাপ, কিংবা কন্টেন্টে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে এসব দেশের নাগরিকরা ভিপিএনের মাধ্যমে নিজেদের আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন ও তথ্য এনক্রিপ্ট করে এসব নিষেধাজ্ঞা বা নিয়ন্ত্রণ বাইপাস করে।
 
ভিপিএনের অসুবিধা

মানুষের স্বাধীনচেতা প্রবণতা অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। ইন্টারনেটের দুনিয়ার সব নিষেধাজ্ঞাও ভেঙে ফেলে অগাধ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়। ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ভিপিএন এই সুবিধাটা নিশ্চিত করে। তবে, অবাধ স্বাধীনতার সঙ্গে যে অপরাধের ঝুঁকিও জড়িত। অপরাধীরা এই স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে নানাবিধ অপরাধে জড়িয়ে পরেছে।

বিশ্বব্যাপী ভিপিএন ব্যবহার করে এমন বহু অপরাধের ঘটনা ঘটে চলেছে। যেখানে অপরাধীদের শনাক্ত করা খুবই কঠিন। ভিপিএনের মাধ্যমে যে সুবিধা ব্যবহারকারী নিচ্ছে, একই সুবিধা গ্রহণ করে অপরাধীরাও তাদের কাজ করে যাচ্ছে। ভিপিএনের মূল উদ্দেশ্য যেহেতু তথ্য গোপন করা তাই সরকারি সংস্থাগুলো চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে এসব তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারে না। 

সরকার কি ভিপিএন ব্যবহারকারীর তথ্য পেতে পারে?

একজন সাধারণ ব্যবহারকারী এনক্রিপ্টেড মেসেজিং বা গোপনে ইন্টারনেট ব্যবহারে যে প্লাটফর্মটি ব্যবহার করছে। একই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে একজন অপরাধী তার অপরাধমূলক যোগাযোগ এবং অপরাধ সংঘটন করতে পারে। একটি জঙ্গি সংগঠন তাদের সম্ভাব্য হামলার জন্য জঙ্গিদের সঙ্গে অনলাইনে পরিকল্পনা সাজাতে পারে, একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। 

এমনকি চরমপন্থী সংগঠনগুলো তাদের জঙ্গি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচারণাসহ যাবতীয় যোগাযোগ রক্ষার্থে ভিপিএন ব্যবহার করতে পারে। সিরিয়া যুদ্ধে মালয় জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা বিশ্লেষণে ভিপিএনের ব্যবহার হয়েছে বলে এক নিবন্ধে জানায় স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ সেন্টার। নিবন্ধে বলা হয়, মুসলিম এই দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে জনগণ ভিপিএনের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যেটাকে কাজে লাগিয়ে মালয় নাগরিকদের ফাঁদে ফেলেছে আইএসের মতো চরমপন্থি সংগঠনগুলো। 

এসব সংগঠনের গতিবিধিসহ যাবতীয় কার্যকলাপ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে অজানা থাকে। হামলার পরেও তারা জঙ্গিদের চিহ্নিত করতে পারে না। সেক্ষেত্রেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় এই ভিপিএন, অজ্ঞাত থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাই এক্ষেত্রে অপরাধ ও অপরাধীর মূল আশ্রয় হয়ে ওঠে। তার ২০২০ সালের দিকে ইউরোপোল, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইসহ ইউরোপের বেশ কিছু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একটি ভিপিএন সার্ভার বন্ধ করে দেয়। 

অর্থাৎ, যে গোপনীয়তার সুবিধা দিয়ে ভিপিএন মানুষকে নিরাপদ রাখছে, সেই একই সুবিধা নিয়ে অপরাধীরাও তাদের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, সরকার চাইলে আদালতের অনুমতিসহ ভিপিএন প্রোভাইডারদের কাছে সন্দেহভাজনদের গতিবিধি নজরদারির আবেদন করতে পারে। যেসব ভিপিএন তাদের সার্ভারে ব্যবহারকারীর লগ-ইন তথ্য সংগ্রহ করে কেবল তারাই এই তথ্য দিতে পারবে। বাকিরা অধরাই থেকে যাবে, যা বিশ্বব্যাপী সরকারি সংস্থাগুলোর জন্যে গুরুতর উদ্বেগের কারণ।
 
তবে, পেইড ভিপিএন প্রোভাইডারের অধিকাংশ লগ-ইন তথ্য সংগ্রহ করে না। ফলে, সরকার চাইলেও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারবে না। বিনামূল্যের ভিপিএন ব্যবহারকারীরা এক্ষেত্রে চিহ্নিত হতে পারে। শুধু চিহ্নিতই না, এদের তথ্য এসব ভিপিএন প্রোভাইডার বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোর কাছেও বিক্রি করে দিতে পারে। যা আবার সাধারণ গ্রাহকের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ।

 
তথ্যসূত্র: ফোর্বস, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, সিএসআইএস, বিজনেস ইনসাইডার, মেক ইউজ অব, সিনেট, ইউরোপোল ও সার্ফশার্ক

 

Comments