জলবায়ু পরিবর্তন বুঝতে সাহায্য করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

জলবায়ু পরিবর্তনকেন্দ্রিক চলমান সংকট মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীনে হওয়া 'ইউনাইটেড ইন সায়েন্স' প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে রেকর্ড মাত্রায় যে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ হচ্ছে, তা চলতি শতাব্দীর মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রাকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে।

ডব্লিউএমও প্রধান সেলেস্তে সাউলো ২০২৩ সালকে ইতিহাসের উষ্ণতম বছর আখ্যা দিয়ে বলেন, 'এটি পৃথিবীর জন্য একটি অশনি সংকেত।'

তবে এই সংকট নিরসনে নতুন প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এআই এবং মেশিন লার্নিংকে 'ট্রান্সফরমেটিভ' প্রযুক্তি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

এই প্রযুক্তি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষকে খাপ খাওয়াতে এবং বিপর্যয় মোকাবিলায় বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে আরও সঠিক, দ্রুততর ও সহজলভ্য করে তুলতে পারে এআই প্রযুক্তি। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে মানুষ আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে, নিজেদের নিরাপদ রাখতে পারবে।

বার্তা সংস্থা এএফপির মতে, জাতিসংঘ স্যাটেলাইট প্রযুক্তির দিকেও নজর দিচ্ছে, যা আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহকে আরও উন্নত করবে। এই স্যাটেলাইটগুলো আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন প্যাটার্ন বুঝতে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে।

এআই ও অন্যান্য প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী হলেও সম্ভাব্য নেতিবাচক দিক নিয়েও সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্রযুক্তিতে যেসব জ্বালানি ব্যবহৃত হবে, তা ঠিকভাবে পরিচালিত না হলে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই পরিবেশগত প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করে এসব প্রযুক্তিকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে ব্যবহার করার আহ্বান জানান সাউলো।

Comments

The Daily Star  | English

DMC suspends MBBS classes amid student protest, orders to vacate halls

The authorities also directed all students to vacate their hostels by 12:00pm tomorrow

22m ago