চলতি বছর বিশ্বে তাপমাত্রা বৃদ্ধির রেকর্ড হতে পারে

এ পর্যন্ত বিশ্বের উষ্ণতম বছর ছিল ২০১৬ সাল।
চলতি বছরে বিশ্বে তাপমাত্রা বৃদ্ধির রেকর্ড হতে পারে
গ্রীষ্মের দুপুরে দিল্লিতে এক নারী ফোনে কথা বলতে বলতে হেঁটে যাচ্ছেন। ছবি: রয়টার্স

জলবায়ু পরিবর্তন এবং এল নিনোর প্রভাবে এ বছর বা আগামী বছর সারাবিশ্বে গড় তাপমাত্রার রেকর্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

বৃহস্পতিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের ডিরেক্টর কার্লো বুওনটেম্পো বলেছেন, 'এল নিনোর কারণে সাধারণত বৈশ্বিক তাপমাত্রার রেকর্ড হয়। ২০২৩ বা ২০২৪, কোন সালে এটি হবে, তা এখনো জানা যায়নি, তবে আমি মনে করি এর মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা আছে।'

তিনি আরও বলেন, 'জলবায়ু মডেলগুলো থেকে ধারণা করা যায় যে ভারত মহাসাগর ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে গ্রীষ্মের শেষদিকে এল নিনো ফিরতে পারে এবং বছরের শেষদিকে এল নিনো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।'

জলবায়ু মডেল অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে লা নিনা আসার ৩ বছর পর সাধারণত এল নিনো আসে। লা নিনার কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায়, আর এল নিনোর কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

এল নিনোর সময় বিষুবরেখা বরাবর পশ্চিমে প্রবাহিত বাতাসের গতি কমে যায় এবং উষ্ণ পানির স্রোত পূর্বদিকে যায়। এ কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

মডেল অনুযায়ী, এ বছরের শেষের দিকে এল নিনো ফিরে আসবে এবং বিশ্বের উষ্ণতা বাড়িয়ে দেবে।

এ পর্যন্ত বিশ্বের উষ্ণতম বছর ছিল ২০১৬ সাল। ওই বছরও শক্তিশালী এল নিনো ছিল। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে।

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রভাবে গত ৮ বছর বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গ্রান্থাম ইনস্টিটিউটের সিনিয়র লেকচারার ফ্রেডরিক অটো বলেন, 'এল নিনোর কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে আরও চরম অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে। যেমন, অনেক দেশেই ইতোমধ্যে তীব্র দাবদাহ, খরা, দাবানল দেখা দিয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'যদি এল নিনো ফিরে আসে, তাহলে ২০২৩ সালের তাপমাত্রা ২০১৬ সালের চেয়েও বেশি হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে। এদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনে মানবসৃষ্ট কারণের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো তো আছেই।'

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা গত বছর বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর চরম মাত্রার মূল্যায়ন করে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা গেছে, ২০২২ ছিল বিশ্বের পঞ্চম উষ্ণতম বছর।

ইউরোপের ইতিহাসে ২০২২ সালের গ্রীষ্মকাল ছিল উষ্ণতম। ওই বছর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

Section 144 imposed in Khagrachhari Sadar, Rangamati municipality

Attacks on indigenous communities in Rangamati follow yesterday's violence in Khagrachhari

35m ago