নিউইয়র্ক টাইমসের ‘নীল টিক’ সরিয়ে দিয়েছে টুইটার

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের অ্যাকাউন্ট থেকে 'নীল টিক' চিহ্ন সরিয়ে নিয়েছে সামাজিক যোগযোগমাধ্যম টুইটার।

আজ সোমবার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

টুইটারের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ভেরিফাইড ব্যবহারকারীদের 'নীল টিক' কেনার জন্য সময়সীমা হিসেবে গত শনিবারকে বেঁধে দিয়েছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল যে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টের ভেরিফিকেশন মার্ক হিসেবে 'নীল চিহ্ন' অব্যাহত রাখতে বাড়তি অর্থ খরচ করবে না।

এরপর গতকাল রোববার মাস্ক এক টুইটে বলেন, নিউইয়র্ক টাইমসের 'নীল চিহ্ন' সরিয়ে নেওয়া হবে। তিনি দৈনিকটি সম্পর্কে 'অপমানজনক' মন্তব্যও করেন।

এই দৈনিকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার ও ইলেক্ট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলাকে নিয়ে সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ইলন মাস্ক একে 'সবচেয়ে তুচ্ছ' সংবাদমাধ্যম হিসেবে অভিহিত করেন।

গতকাল নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, 'টুইটার অ্যাকাউন্টের নীল চিহ্নের জন্য প্রতি মাসে অর্থ দেওয়ার বিষয়টি আমাদের প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনায় নেই। (আমরা) সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে নীল চিহ্নের জন্য অর্থ দেব না, যদি না তা সংবাদ সংগ্রহের কাজে খুব প্রয়োজনীয় না হয়।'

বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছিল, তারা ভেরিফিকেশন চিহ্নের জন্য অর্থ খরচ করবে না। তবে এখনো এপির অ্যাকাউন্ট থেকে এই চিহ্ন সরিয়ে নেওয়া হয়নি।

নিউইয়র্ক টাইমসের চিহ্ন সরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে টুইটারকে বার্তা সংস্থাটি ইমেইল পাঠিয়েছিল। তবে সে ইমেইলের উত্তর পাওয়া যায়নি বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল—ভেরিফিকেশন চিহ্নের জন্য টুইটারে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টধারীদের প্রত্যেককে প্রতি মাসে ৮ ডলার ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ন্যূনতম ১ হাজার ডলারের পাশাপাশি সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মী বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্টের জন্য অতিরিক্ত ৫০ ডলার করে দিতে হবে।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে টুইটার বিনা খরচে 'ধুসর চিহ্ন' দিয়েছে। তবে অন্য কর্মীদের অর্থ পরিশোধ না করলে 'নীল চিহ্ন' দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়।

২০২২ সালের অক্টোবরে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনার পর থেকে ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠানটির আয় বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে তিনি অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের ভেরিফিকেশন চিহ্ন কিনে নেওয়ার আহ্বান জানান।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago