গোলযোগপূর্ণ বেলুচিস্তান প্রদেশে এটি সর্বশেষ হামলার ঘটনা। রাজধানীতে আয়োজিত একটি বড় নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনের কয়েকদিন আগে ভয়াবহ হামলার ঘটনাটি ঘটল।
বেলুচিস্তানের পশ্চিমে পাঞ্জগুর অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রথম আক্রমণের পর আশপাশে বেশ কয়েকটি এলাকায় আরো হামলার ঘটনা ঘটে।
সহকারী কমিশনার (এসি) নাজিব কাকার জানান, কিছু সশস্ত্র ব্যক্তি মুসাখেলের রারাশাম এলাকায় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে রাখে। তারা বাস থেকে যাত্রীদের বের হয়ে আসতে বলে তাদের ওপর গুলি চালায়।
বাসে ৭০ জন যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে। পুলিশের সূত্ররা জানিয়েছে, বাসের বেশিরভাগ যাত্রী লাহোর ও গুজরানওয়ালার বাসিন্দা।
স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা ইসমাইল মেঙ্গাল বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে মোড় ঘোরাতে যেয়ে চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি খাদে পড়ে যায়।’
প্রথম বিস্ফোরণটি হয় পিশিন শহরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসফান্দিয়ার কাকারের নির্বাচনী অফিসের বাইরে।
ইরান-পাকিস্তান উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনেছে বিভিন্ন সময়; যারা বছরের পর বছর ধরে তাদের সীমান্ত এলাকায় হামলা চালিয়ে আসছে।
এর আগে সোমবার ইরাক ও সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এ ঘটনাগুলো মধ্যপ্রাচ্যের সহিংসতা ও সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মত দিয়েছেন
দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা অভিযোগ করে আসছেন, পাকিস্তানে জঙ্গি সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করে ভারত। তবে ভারত কখনোই এই দাবি মেনে নেয়নি।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে গতকাল সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে ছয় জন সেনা নিহত হয়েছেন।