শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ত্রুটিপূর্ণ নীতির কারণে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রকৃত অবস্থা অস্পষ্ট ছিল। গত ৫ আগস্ট তার পতনের পর ব্যাংক খাতের আসল চিত্র বের হতে শুরু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো কোনো ব্যাংক আমানতের ওপর ১৩ শতাংশের বেশি সুদ দিচ্ছে
‘শক্তিশালী ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একীভূত করে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই ও ২৯ মে সময়ে সরকার বিল ও বন্ড ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে ৭৮ হাজার ১১৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে
মঙ্গলবার এক নিলামে ৩২টি ব্যাংক ও চারটি এনবিএফআই রেপো ও তারল্য সহায়তা সুবিধার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ১৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ধার নিয়েছে।
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে মুদ্রানীতিতে সুদহার আরও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত কল মানি রেট তখন বৃদ্ধি পায়, যখন ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়ে ও বাজার থেকে অর্থ ধার করে।
ব্যাংকগুলো হলো—ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা ইসলামী ব্যাংক অ্যাননটেক্স গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানকে ৭০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে।
দেশের ব্যাংকিং খাতে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত তারল্য আছে এবং কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দেশে মূল্যস্ফীতির সমহারে ঋণের সুদহার অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। কারণ, মূল্যস্ফীতির বিপরীতে সুদহার ঋণাত্মক হওয়ায় দ্রুত লাভের জন্য বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনুৎপাদনশীল খাতকে...