যখন কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রভিশন ঘাটতির মুখে পড়ে, তখন তার দুর্বল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সামনে আসে।
এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ১৭ শতাংশ আমানত হিসাব কমেছে।
দেশের ১২ টি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) নিয়মিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াই চলছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ৩৫টি এনবিএফআইয়ের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা, যা একই বছরের জুনের চেয়ে ৯ শতাংশ এবং আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলে এনবিএফআইকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর স্থগিত করতে হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতার ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আটকে আছে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) কাছে।
ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআই) খেলাপি ঋণ কমাতে এবং মূলধন ঘাটতি মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে এ খাতে খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের ২৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের মূল আকর্ষণ থাকে কারসাজির প্রতি। তবে, ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার সংখ্যা বেশি হওয়ায় কারসাজির সুযোগ তেমন নেই। তাই এসব শেয়ার কিনতে চান না তারা।
ব্যাংকের পর এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।