ভারতকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এমন লক্ষ্য সামনে থাকলে স্নায়ুচাপে ভোগা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ও অধিনায়ক জস বাটলারের ব্যাটে চাপের কোনো লক্ষণই দেখা গেল না। ভারতের বোলারদের কচুকাটা করে রেকর্ড জুটি গড়ে তারা দলকে তুললেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে।
বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রোহিত শর্মাদের ১০ উইকেটে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইংলিশরা। টস হেরে আগে ব্যাট থেকে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে ভারত। জবাবে ২৪ বল হাতে রেখে বিনা উইকেটে ১৭০ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে বাটলারের দল।
আগামী রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। মেলবোর্নে শিরোপা নির্ধারণী লড়াই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায়।
ম্যাচসেরা হেলস অপরাজিত থাকেন ৮৬ রানে। ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণের পর ৪৭ বল মোকাবিলায় ৪ চার ও ৭ ছক্কা হাঁকান তিনি। ৩৬ বলে ফিফটি ছোঁয়া বাটলার ৪৯ বলে অপরাজিত ৮০ রান করেন ৯ চার ও ৩ ছক্কা মেরে। তাদের বিপরীতে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন ভারতের বোলাররা।
উদ্বোধনী জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ১৭০ রান তোলেন বাটলার ও হেলস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে যে কোনো উইকেট এটি সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। আগের কীর্তি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক ও রাইলে রুশোর। তারা চলতি আসরেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভে ১৬৮ রান যোগ করেছিলেন দ্বিতীয় উইকেটে।
ভারতের ছয় বোলারের কেউই উইকেট তুলে নিতে পারেননি। কয়েকজন ছিলেন রীতিমতো খরুচে। পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ২ ওভারে দেন ২৫ রান। মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়ার ৩ ওভারে আসে যথাক্রমে ৩৯ ও ৩৪ রান। অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ২ ওভারে ইংল্যান্ড নেয় ২৭ রান।
এর আগে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারের বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন বিরাট কোহলি। পাঁচে নেমে তাণ্ডব চালানো ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নেন হার্দিক। তাদের কল্যাণে ইনিংসের শেষদিকে রানের গতি দারুণভাবে বাড়িয়ে নেয় ভারত। কিন্তু সেই পুঁজিকে পরে মামুলি বানান হেলস ও বাটলার।
৩৯ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পরেই সাজঘরে ফেরেন কোহলি। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ১ ছক্কা। ইনিংসের শেষ বলে হিট উইকেট হওয়া হার্দিক চালান আগ্রাসন। মাত্র ২৯ বলে ফিফটি হাঁকান তিনি। ১৯০.৯০ স্ট্রাইক রেটে ৩৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলতে তিনি মারেন ৪ চার ও ৫ ছক্কা।
Comments