কোহলি-হার্দিকে ইংল্যান্ডকে ১৬৯ রানের লক্ষ্য দিল ভারত

ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ ফিফটি তুলে নিলেন বিরাট কোহলি। পাঁচে নেমে তাণ্ডব চালানো ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাদের কল্যাণে ইনিংসের শেষদিকে রানের গতি দারুণভাবে বাড়িয়ে নিল ভারত। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তারা ইংল্যান্ডকে ছুঁড়ে দিল ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেড ওভালে আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করেছে ভারত। ইংলিশদের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে রোহিত শর্মার দল তুলেছে ১৬৮ রান।
৩৯ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন কোহলি। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ১ ছক্কা। ইনিংসের শেষ বলে হিট উইকেট হওয়া হার্দিক মেলে ধরেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পসরা। মাত্র ২৯ বলে ফিফটি হাঁকান তিনি। ১৯০.৯০ স্ট্রাইক রেটে ৩৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলতে তিনি মারেন ৪ চার ও ৫ ছক্কা।
১৩ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৮০ রান। সেখান থেকে মূলত হার্দিকের নৈপুণ্যেই তারা পেয়েছে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। শেষ ৭ ওভারে ভারত ৩ উইকেট খুইয়ে তোলে আরও ৮৮ রান। বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়ে হার্দিক কচুকাটা করেন ক্রিস জর্ডান, স্যাম কারানদের।
প্রথম বলেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ভারতের রানের খাতা খোলেন রোহিত। এরপর নিজেকে সামলে নেন পেস অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। পরের ওভারে বল হাতে পেয়েই ইংল্যান্ডকে উল্লাসে মাতান পেসার ক্রিস ওকস। তার লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটরক্ষক জস বাটলারের গ্লাভসবন্দি হন কেএল রাহুল। দলীয় ৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারতীয়রা। রাহুল ৫ বল খেলে করেন ৫ রান।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আঁটসাঁট ছিল ইংলিশরা। ওকস আবার আক্রমণে ফিরলে তাকে কভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে নিজের প্রথম বাউন্ডারি পান কোহলি। কারানকে টানা দুই চার মারার পর লেগ স্পিনার আদিল রশিদকে চার মেরে স্বাগত জানান তিনি। পাওয়ার প্লে শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৩৮ রান।
রোহিতক ফিরিয়ে ৪৩ বলে ৪৭ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন জর্ডান। হাওয়ায় ভেসে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন কারান। ২৮ বলে ২৭ রানের ঢিমেতালে ইনিংস খেলে থামেন রোহিত। স্টোকসকে টানা ছক্কা-চার মেরে বিপজ্জনক হওয়ার আভাস দিয়েছিলেন সুরিয়াকুমার যাদব। তাকে বেশিদূর এগোতে দেননি রশিদ। ১০ বলে ১৪ রান করে ফিল সল্টের তালুবন্দি হন তিনি।
দ্বাদশ ওভারে ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর চাপ সামলে জমে যায় কোহলি ও হার্দিকের জুটি। তরতর করে বাড়তে থাকে রান। মাত্র ৪০ বলে ৬১ রান যোগ করেন দুজনে। তাতে ইংলিশ বোলারদের লাগাম হয়ে যায় আলগা। ফিফটি হাঁকানোর পথে ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন কোহলি।
১৮তম ওভারের প্রথম দুই বলে জর্ডানকে জোড়া ছক্কা হাঁকান হার্দিক। ওই ওভারের পঞ্চম বলে ডাবল নিয়ে ফিফটি স্পর্শ করেন কোহলি। পরের বলে শর্ট থার্ড ম্যানে রশিদের ক্যাচে থামেন তিনি। এরপর কারানের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন হার্দিক। সব মিলিয়ে ওই ওভার থেকে আসে ২০ রান।
জর্ডানের করা শেষ ওভারে রানআউটে কাটা পড়েন রিশভ পান্ত। ৪ বলে ৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর টানা ছক্কা-চার হাঁকিয়ে একদম শেষ ডেলিভারিতে হিট উইকেট হন হার্দিক। ফলে বল স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানা পেরিয়ে গেলেও স্কোরবোর্ডে জমা হয়নি রান।
Comments