পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়লেন বাবর
ভারতের মাটিতে ২০২৩ বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারেনি পাকিস্তান। নয় ম্যাচের মাত্র চারটিতে জিতে তারা আসরের লিগ পর্ব থেকেই ছিটকে গেছে। ব্যর্থতায় মোড়ানো বিশ্বকাপের পর দলটির নেতৃত্ব ছাড়লেন বাবর আজম।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বাবর। তিন সংস্করণের অধিনায়কের পদ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে বাবরকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল। এরপর ওয়ানডে ও টেস্টের নেতৃত্বও পান তিনি। ২৯ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটার লিখেছেন, 'আজ আমি পাকিস্তানের সব সংস্করণের অধিনায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে আমি অনুভব করছি, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এটাই সঠিক সময়।'
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুটি ম্যাচে বাবরের অধিনায়কত্বে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কাকে হারায় পাকিস্তান। কিন্তু শুভ সূচনার ধারা বজায় রাখতে পারেনি তারা। পথ হারিয়ে টানা চারটি ম্যাচে হেরে বসে তারা। ধাক্কার শুরুটা ছিল স্বাগতিক ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে। এরপর একে একে অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাস্ত হয় পাকিস্তান।
প্রথম ছয় ম্যাচের স্রেফ দুটিতে জেতায় বাকি তিনটি ম্যাচ বাবরদের জন্য ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। কিন্তু বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের হাসি হাসলেও তা যথেষ্ট হয়নি সেমিফাইনালের টিকিট পাওয়ার জন্য। বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পর শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছেও হেরে যায় পাকিস্তান।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাবর যোগ করেছেন, 'আমি তিন সংস্করণের সবকটিতেই একজন খেলোয়াড় হিসেবে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা চালিয়ে যাব। আমি নতুন অধিনায়ক ও দলকে আমার অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা দিয়ে সমর্থন দিয়ে যাব। এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আমার ওপর অর্পণ করার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
বিশ্বকাপ থাকাকালীনই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বাবরসহ পাকিস্তান দলকে। শুধু দলীয় পারফরম্যান্সের জন্য নয়, ব্যক্তিগত মলিন পারফরম্যান্সের জন্যও তির্যক বাক্যবাণে জর্জরিত হন বাবর। বিশ্বমঞ্চে খেলতে নেমে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা তারকাখ্যাতির প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। নয় ইনিংসে ৪০ গড়ে ৩২০ রান করলেও প্রশ্ন ওঠে সেসবের কার্যকারিতা নিয়ে।
বাবরের অধিনায়কত্বে ২০ টেস্টের ১০টিতে জিতেছে পাকিস্তান। হেরেছে ছয়টিতে, ড্র হয়েছে বাকি চারটি। দলনেতা হিসেবে ৪৩ ওয়ানডেতে ২৬টি ম্যাচ জিতেছেন বাবর। ১৫টি হারের পাশাপাশি একটি করে ম্যাচ টাই ও পরিত্যক্ত হয়েছে। ৭১ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে পাকিস্তানকে ৪২ বার জয়ের স্বাদ দিয়েছেন বাবর। দলটি হেরেছে ২৩টি ম্যাচে। ফল হয়নি বাকি ছয়টিতে।
Comments