পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন নাসের
টানা দুই ম্যাচ জিতে টানা চার ম্যাচ হার। তাতেই পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার ভাগ্য চলে যায় অন্যদের হাতে। অন্য দলগুলোর ফলাফল সঙ্গে না পেলে আরও একবার প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হবে দলটিকে। আবারও নিজেদের ভাগ্যটা অন্যদের হাতে তুলে দেওয়ায় বেজায় চটেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন। কঠোর সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন বাবর আজমদের।
এবারের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল গত ২০১৯ বিশ্বকাপেও। পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ নির্ভর করছিল অন্য দলগুলোর ফলাফলের ওপর। বিশেষ করে, ইংল্যান্ডের হারের অপেক্ষায় ছিল তারা। শেষ দুই ম্যাচের একটিতে হারলেই বিদায় নিত ইংলিশরা। সেমিতে খেলত পাকিস্তান। কিন্তু সেই দুই ম্যাচে ভারতকে ৩১ ও নিউজিল্যান্ডকে ১১৯ রানে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। ফলে কিউইদের সমান ১১ পয়েন্ট নিয়েও নেট রান রেটের কারণে বিদায় নিতে হয় পাকিস্তানকে।
এবারও একই পরিস্থিতিতে পড়ায় পাকিস্তানকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন নাসের, 'প্রতিটি আইসিসি টুর্নামেন্টে অন্যের উপর নির্ভর করার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানের। অন্যের উপর নির্ভর না করে তাদের খেলার উপর কাজ করা উচিত। তাদের নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি বড় ম্যাচ বাকি আছে। আমি বাজি ধরে বলতে পারি পাকিস্তানকে হারিয়ে দেবে ইংল্যান্ড। পাকিস্তান এই বিশ্বকাপের সপ্তম, অষ্টম এবং নবম দলকে হারিয়েছে। তাদের এতো রোমাঞ্চিত হওয়ার কিছু নেই।'
বিশ্বকাপের মঞ্চে একবারই শিরোপা উল্লাস করতে পেরেছে পাকিস্তান। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের অধীনে বিশ্বকাপ জিতে নেয় দলটি। সেবারও ভাগ্যের বড় সহায়তা পেয়েছিল তারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারতে থাকা ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত না হলে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিত তারা।
চলতি বিশ্বকাপের সপ্তম রাউন্ডে এসে অবশ্য কিছুটা বদলে গেছে পরিস্থিতি। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে নিউজিল্যান্ডের বড় হারের কারণে ভাগ্য এখন নিজেদের হাতেই নির্ভর করছে পাকিস্তানের। শেষ দুই ম্যাচে বড় জয় পেলে অন্য কোনো দলের ওপর নির্ভর করতে হবে না তাদের। বিশেষ করে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিতলে কাজটা সহজ হয়ে যাবে পাকিস্তানের জন্য।
Comments