কোহলি-রুট-স্টোকস এবং বিশ্বকাপে প্রথম ডাকের কেচ্ছা
রানও নিতে পারেননি, আবার বলও নষ্ট করে ফেলেন। বল নষ্ট করে ডাক মেরে আউট হয়ে যাওয়া— কেউ তো আর ইচ্ছা করে সেটা করেন না! আর চাইলেও বিরাট কোহলিকে সে দোষে দোষী করা যায় না।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কখনোই শূন্য রানে আউট হননি। গত বছর সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানের ফোয়ারা ছোটানো কোহলি এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপেও দারুণ ধারাবাহিক। তবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে (দুই সংস্করণ মিলিয়ে) শূন্য রানে আউট তিনি। সেই ডাকের জন্য খরচ করে ফেলেন ৯ বল। ওয়ানডে ক্রিকেটে এত বেশি বল খেলেও কোহলি রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ— এমনটা দেখা যায়নি আগে।
ওয়ানডেতে ভারতের এই ব্যাটার আরও ১৫ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন যদিও। তবে তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি বল খেলে ডাক মারার ঘটনা গতকাল রবিবার লখনউয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেই। ডেভিড উইলির বল মারতে গিয়ে ধরা পড়ে যান মিডঅফে। টি-টোয়েন্টিতে কোহলির আছে চারটি ডাক। সব মিলিয়ে সাদা বলের সংস্করণে এর আগে যে ১৯টি ডাক ছিল কোহলির, তাতে কখনোই খরচ করেননি ৫ বলের বেশি।
লখনউয়ে তিনে নেমে কোহলির ডাকের দিনে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডেরও তিন নম্বর ব্যাটার শূন্য রানে বিদায় নেন। জো রুট আউট হয়ে যান প্রথম বলেই। ওয়ানডে বিশ্বকাপে রুটেরও সেটি প্রথম ডাক। অর্থাৎ একই দিনে বিশ্বকাপে প্রথমবার শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন কোহলি ও রুট দুজনেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে, কোহলির মতো টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ— কোনোটিতেই এর আগে ডাক মারেননি রুট।
দুই দলেরই তিন নম্বর ব্যাটার ডাক মারেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের ১০০ রানে জয়ের ম্যাচে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে বিশ্বমঞ্চ এমন কিছু দেখল এই প্রথম। রুটের খালি হাতে চলে যাওয়ার পর চার নম্বরে আসেন বেন স্টোকস। ১০ বল খেলে হাঁসফাঁস করে আউট হওয়া তারকার ভাগ্যেও জোটে ডাক। দলের তিন ও চার নম্বর ব্যাটারের উভয়েরই একই ম্যাচে ডাক মারার ঘটনা বিশ্বকাপে এর আগে দেখেনি ইংলিশরা।
ডাক মেরে কোহলি ও রুটের সঙ্গে একই বিন্দুতে মিলে যান স্টোকসও। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি— দুই সংস্করণ বিশ্বকাপ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো রানের খাতা খোলার আগে আউট হন তিনিও। অর্থাৎ কোহলি, রুট ও স্টোকস— বিশ্বকাপে তিনজনেরই প্রথম ডাক এলো একই ম্যাচে!
Comments