‘কে জানে... এখান থেকে চার-পাঁচটি ম্যাচ জিততেও পারি’
ভবিষ্যতের আড়ালে কী অপেক্ষা করছে তা কেউই নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন না। নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য নেতিবাচকতার শঙ্কাকে পাশ কাটিয়ে ইতিবাচকতার সম্ভাবনাকে অগ্রাধিকার দিলেন। ফের উজ্জ্বল আগামীর আশায় বুক বাঁধার গল্প শোনালেন। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের মতে, টানা তিন হারে বিপর্যস্ত দল এমন বিরুদ্ধ পরিস্থিতি সামলে চার-পাঁচটি ম্যাচ জিততেও পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন শান্ত। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি তার। পুনেতে ব্যাটিংয়ের জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত উইকেটে আগে ব্যাট করে কেবল ২৫৬ রানে আটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর বিরাট কোহলির অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেট ও ৫১ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ভারত। আফগানিস্তানকে উড়িয়ে শুরুর পর এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পায় টানা তিনটি একপেশে হারের তেতো স্বাদ।
ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের পর স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষেও লড়াই জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের আরেকটি বিবর্ণ প্রদর্শনীতে হতাশা বাড়ে। অথচ দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস মিলে দলকে দিয়েছিলেন অভূতপূর্ব সূচনা। রেকর্ড উদ্বোধনী জুটিতে তারা আনেন ৯৩ রান। তবে এরপর শুরু হওয়া ছন্দপতনে প্রতিপক্ষকে ফেলা যায়নি চ্যালেঞ্জের মুখে।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা শান্ত নানা আক্ষেপের মাঝে জানান পরের ম্যাচ ও ব্যাটিং নিয়ে তার চাওয়া, 'পরের ম্যাচ যখন খেলতে নামব, অবশ্যই আমরা জেতার জন্যই খেলব। আমাদের সেরাটা, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে সেরাটা এখনও দিতে পারিনি বলে আমার ধারণা। আশা করি, সামনের ম্যাচগুলোতে ব্যাটাররা দায়িত্ব নিয়ে খেলার চেষ্টা করবে। আর এখনও আমার কাছে মনে হয়, অনেক কিছু করার বাকি আছে।'
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর মোস্তাফিজুর রহমান বলেছিলেন, পরের ছয় ম্যাচের ছয়টিও জিততে পারেন তারা। তবে তার সেই প্রত্যাশা পূরণ হওয়া আর সম্ভব নয়। কারণ ভারতের কাছে অসহায়ভাবে হারের পর বিশ্বকাপে আর পাঁচটি ম্যাচ বাকি আছে বাংলাদেশের।
মোস্তাফিজের ওই মন্তব্য পরিমার্জন করে এবার শান্ত জানান তার ভাবনা, 'যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো একটি ম্যাচ ভালো খেলা। একটা ভালো ম্যাচ দলের মোমেন্টাম বদলে দেবে। এখনও পাঁচটি ম্যাচ বাকি। কে জানে... এখান থেকে চার-পাঁচটি ম্যাচ আমরা জিততেও পারি। প্রতিটি ম্যাচই জেতার চেষ্টা করব। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, পরের ম্যাচে আমরা কতটা ভালো খেলতে পারি এবং কীভাবে জিততে পারি।'
Comments