সাকিবের স্ক্যান রিপোর্ট যেন এক ‘গোপন নথিপত্র’

দুবার এমআরআই স্ক্যান করা হলেও রিপোর্টে কী এসেছে তা নিয়ে যে পর্যায়ে লুকোছাপা করা হচ্ছে, মনে হতে বাধ্য যে এটা হয়তো রাষ্ট্রীয় কোনো গোপন নথি!

পুনে থেকে

সাকিবের স্ক্যান রিপোর্ট যেন এক ‘গোপন নথিপত্র’

দুবার এমআরআই স্ক্যান করা হলেও রিপোর্টে কী এসেছে তা নিয়ে যে পর্যায়ে লুকোছাপা করা হচ্ছে, মনে হতে বাধ্য যে এটা হয়তো রাষ্ট্রীয় কোনো গোপন নথি!
সাকিব আল হাসান
সাকিব আল হাসান। ছবি: একুশ তাপাদার/স্টার

সাকিব আল হাসানের চোটের মাত্রাটা আসলে কেমন? এক সপ্তাহ এবং এক ম্যাচ পেরিয়ে গেলেও তা এখনো অজানা। জানবেন কী করে,  আনুষ্ঠানিকভাবে যে বিসিবি কিছুই বলছে না! দুবার এমআরআই স্ক্যান করা হলেও রিপোর্টে কী এসেছে তা নিয়ে যে পর্যায়ে লুকোছাপা করা হচ্ছে, মনে হতে বাধ্য যে এটা হয়তো রাষ্ট্রীয় কোনো গোপন নথি!

গত ১৩ অক্টোবর চেন্নাইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করার সময় বাঁ পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়ে সাকিবের। খেলার পরই করা হয় এমআরআই স্ক্যান। এসব স্ক্যানের রিপোর্ট পেতে একদিনের বেশি সময় লাগে না। কিন্তু পরের দিন রাতে বিসিবি ফিজিওর বরাতে যে বিবৃতিতে পাঠায় তা ছিল অস্পষ্টতায় ভরপুর।

পেশির চোটের বেলায় এমআরআই রিপোর্টে দেখা হয়, টিয়ার (মাংসপেশির তন্তু ছিঁড়ে যাওয়া) আছে কিনা, থাকলে সেটা কোন পর্যায়ের। এমন কোনো তথ্য না দিয়ে বলা হয়, সাকিবকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

গত মঙ্গলবার অনুশীলনে টানা ৪৫ মিনিট ব্যাট করেন সাকিব। রানিং যদিও করেন সামান্য। যদিও ভারতের বিপক্ষে তিনি খেলবেন বলেই মনে হচ্ছিল। তবে ম্যাচের আগের দিন তার খেলা না খেলা আরেকটি স্ক্যান রিপোর্টের উপর নির্ভর করছে বলে জানান প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেই স্ক্যান করা হলেও রিপোর্টের ফল রাখা হয়েছে গোপন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ম্যাচের ঠিক ৪০ মিনিট আগে ব্যাট নিয়ে নেমে নকিং করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার ওয়ার্মআপ বলে দিচ্ছিল, তিনি থাকছেন ম্যাচে। অথচ সবাইকে অবাক করে দিয়ে সাকিবকে পরে খেলতে দেখা যায়নি। টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, পরের ম্যাচগুলোর ঝুঁকির কথা ভেবেই খেলানো হয়নি সাকিবকে। কিন্তু এবারও আড়াল করা হয় কী আছে স্ক্যান রিপোর্টে।

ভারতের বিপক্ষে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে লিটন দাস, তানজিদ হাসানের ভালো শুরুর পরও মাত্র ২৫৬ রান করে বিন্দুমাত্র লড়াই করতে পারেনি।

আগামী ২৪ অক্টোবর মুম্বাইতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ। ওই ম্যাচেও ভালো ফল না করলে বিশ্বকাপে টিকে থাকার সম্ভাবনা খাতায়-কলমেও অনেকটা মিইয়ে যাবে। তবে সাকিবকে সেদিন পাওয়া যাবে কিনা, তার চোট কোন মাত্রার তা বুঝতে এখন শার্লক হোমস বা ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি প্রয়োজন!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীলরা কেউ কেউ গ্রেড ওয়ান টিয়ারের কথা বললেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে না। পুরো স্ক্যান রিপোর্টকে গোপন নথি বানিয়ে করা হচ্ছে অস্বাভাবিক এক রহস্য। সাকিব পরের ম্যাচ খেলবেন কিনা কিংবা এই বিশ্বকাপে আর কত ম্যাচ খেলবেন সেই ব্যাপারে কোনো কিছুই নিশ্চিত করে বলার উপায় তাই নেই।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

11h ago