আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

তবু ওপেনারদের দায় দেখছেন শান্ত!

ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং নিয়ে শুরুর কঠিন পরিস্থিতি সামলে দারুণ জুটি গড়েন তানজিদ-লিটন। চার-ছক্কায় ভারতীয় বোলারদের এলোমেলো করে দিতে থাকেন তারা।

পুনে থেকে

তবু ওপেনারদের দায় দেখছেন শান্ত!

Tanzid Hasan Tamim & Litton Das
ছবি: আইসিসি

ওপেনিং জুটি থেকে বিশ্বকাপ ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ রান পেয়েছিল বাংলাদেশ। লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম এনে দিয়েছিলেন দারুণ ভিত। তবে অমন শক্ত ভিতও বাকিরা টেনে নিতে পারেননি। তানজিদ-লিটনও ফেরেন অসময়ে। কিন্তু রান পেলেও এই ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে না পারায় দুই ওপেনারের দায় দেখছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

বৃহস্পতিবার পুনেতে ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং নিয়ে শুরুর কঠিন পরিস্থিতি সামলে দারুণ জুটি গড়েন তানজিদ-লিটন। চার-ছক্কায় ভারতীয় বোলারদের এলোমেলো করে দিতে থাকেন তারা। ২৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে তাদের জুটিতে বাংলাদেশ পায় বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা শুরু।

১৫তম ওভারে দলের ৯৩ রানে ৫১ করা তানজিদের আউটে ভাঙে এই জুটি। পরে শান্ত নিজে, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয় মিডল অর্ডারে হন ব্যর্থ। এক পর্যায়ে ৬৬ রান করে ছক্কার চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটনও। এরপর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ দুটি মাঝারি ইনিংস খেললেও লড়াইয়ের পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ।

বড় রান না হওয়ার পেছনে ম্যাচ শেষে তাই ওপেনারদের দায় খুঁজে পাচ্ছেন শান্ত, 'আমরা যে জায়গা নিয়ে সংগ্রাম করছিলাম সেটা ভালো হয়েছিল, টপ অর্ডারে। ওপেনিং ভালো হয়েছিল। কিন্তু আমি মনে করি, যে দুজন ব্যাটার থিতু ছিল, তাদের আরও লম্বা করা উচিত ছিল ইনিংস। কারণ উইকেট এরকম ছিল। ওখান থেকে একজন ব্যাটার ১২০-১৩০ রানের ইনিংস যদি খেলত, তাহলে হয়তো শেষের দিকে ব্যাটারদের জন্য আরেকটু সহজ হতো।'

শান্তর মতে, দল না জেতায় নিজেদের ইনিংস নিয়ে খুশি হবেন না লিটন-তানজিদও, 'আমাদের দলে কোনো ব্যাটারই ৫০-৭০ বা একশতে খুশি না যদি না দলের সাহায্য হয়। আমি নিশ্চিত, তানজিদ বা লিটন কেউই খুশি না তাদের ইনিংস নিয়ে।'

'প্রতিটি ব্যাটারেরই দায়িত্ব রান করা। আমি যে জায়গায় ব্যাট করি— তিনে রান করা দায়িত্ব।'

প্রতিপক্ষকে বড় রান না দেওয়ার পর বোলিংও হয়েছে বিবর্ণ। ভারতীয় ব্যাটাররা আগ্রাসী মেজাজে গুঁড়িয়ে দেন বাংলাদেশের আক্রমণ। তবে বোলারদের এই ম্যাচে কোনো দায় দেখেন না শান্ত, 'আমি বোলারদের খুব একটা দোষ দেখি না। তারা ভালো বল করছে। অবশ্যই, এখানেও উন্নতির জায়গা আছে। ব্যাটাররা যদি আরেকটু রান যদি দিতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো।'

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

45m ago