আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

তানজিদের পর ফিরলেন লিটনও

ছোট লক্ষ্যে ভালো শুরুর পর দুই ওপেনারকেই হারিয়েছে টাইগাররা।

তানজিদের পর ফিরলেন লিটনও

বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান

লক্ষ্যটা খুব বড় নয়। টাইগার বোলারদের সৌজন্যে ১৫৭ রানের লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ। সে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন কুমার দাস। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তানজিদ হাসান তামিমকে। এরপর হতাশ করেছেন লিটন দাসও। ফলে হঠাৎই চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।

শনিবার ভারতের ধর্মশালায় আইসিসি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে রান তাড়ায় নেমেছে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৩২ রান করেছে তারা। মেহেদী হাসান মিরাজ ১০ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ০ রানে ব্যাটিং করছেন। এর আগে ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রান তুলে গুটিয়ে যায় আফগানরা।

ফজলহক ফারুকির করা প্রথম ওভারেই দারুণ এক ফ্লিকে বাউন্ডারি আদায় করে নিয়েছিলেন তানজিদ। বেশ সাবলীলই দেখাচ্ছিল তাকে। ফারুকির করা পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে পয়েন্টে বল ঠেলেছিলেন লিটন। রান নিতে চেয়েছিলেন তানজিদ। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে যান। লিটন আগ্রহী না হলে ফিরতে গিয়েও ফিরতে পারেননি তিনি। নজিবুল্লাহ জাদরানের দারুণ থ্রোতে স্টাম্প ভাঙলে ব্যক্তিগত ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ।

এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটনও। ফারুকির বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ১৮ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১৩ রান করেন তিনি। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে দলের হাল ধরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল আফগানিস্তান। ৪৭ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। পেসারদের স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছিলেন তারা। তবে স্পিনার আসার পরই নামে অস্বস্তি। টাইগারদের সাফল্যও আসে দ্রুত। নিজেদের দ্বিতীয় ওভারেই এ জুটি ভাঙেন সাকিব। অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা বলে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইব্রাহিম। ২৫ বলে ১টি ছক্কা ও ৩টি চারে ২২ রান করেন তিনি।

ইব্রাহিমের বিদায়ের পর রহমান শাহকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন গুরবাজ। ৩৬ রানের জুটিও গড়েন তারা। এ জুটিও ভাঙেন সাকিব। তাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে হেরফের করে সিলি মিড অফে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান রহমত। ২৫ বলে ১৮ রান করেন তিনি। এরপর অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদিকে কিছুটা মন্থর গতিতে আগাতে থাকেন গুরবাজ। ৫৭ বলে ২৯ রানের এ জুটি গড়েন তারা। এ জুটি ভাঙেন মিরাজ। তাকে স্লগ করতে গিয়ে আকাশে তুলে তাওহিদ হৃদয়ের তালুবন্দি হন তিনি। তার ব্যাট থেকেও আসে ১৮ রান।

তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে টাইগারদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন গুরবাজ। শেষ ১১ ইনিংসের যে দুটিতে ত্রিশ পার করেছিলেন সে দুইবারই সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ভীতি ছড়াচ্ছিলেন এই ব্যাটার। এদিন আবার ওয়ানডে ক্রিকেটে এক হাজার রানও পূর্ণ করেন তিনি। যা দেশটির হয়ে দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড। তবে বড় ক্ষতি করার আগে তাকে ছাঁটাই করেন মোস্তাফিজ। অবশ্য ডিপ কাভার থেকে ছুটে এসে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন তানজিদ হাসান। ৬২ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৭ রান করেন গুরবাজ।

নাজিবুল্লাহ জাদরান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। তাকে ছাঁটাই করে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন সাকিব। তার বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ফ্লিক করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান নজিবুল্লাহ (৫)। নবিও দায়িত্ব নিতে পারেননি। তাসকিন আহমেদের অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বলে কাট করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্প ভাঙে নবির (৬)। ফলে লেজ বেরিয়ে যায় আফগানদের। বড় চাপে পড়ে যায় আফগানরা।

এরপর আর প্রতিরোধ করতে পারেনি কোনো ব্যাটারই। আজমতুল্লাহ ওমরজাই কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন ৪টি বাউন্ডারি মেরে ২২ রান করেছিলেন তিনি। বড় ক্ষতি করার আগে তাকে বোল্ড করে দেন শরিফুল ইসলাম। ফলে দেড়শরা কাছেই থাকে বাংলাদেশের লক্ষ্য।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

8h ago