দলের কথা ভেবে পাঁচ উইকেটের সুযোগ পাওয়া হয়নি ইবাদতের!

ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কোন পেসারের পাঁচ উইকেট নেওয়ার সর্বশেষ নজির খুঁজতে যেতে হবে ১৩ বছর পেছনে। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে ৭১ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন। লম্বা খরার পর বৃহস্পতিবার ইবাদতে মেটাতে পারতেন অতৃপ্তি।
Ebadot Hossain
দারুণ বল করে ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন ইবাদত হোসেন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চা-বিরতির আগে ১৪৪ রানে ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল আফগানিস্তানের। এরমধ্যে ৪ উইকেটই ছিল ইবাদত হোসেনের। পাঁচ উইকেটের সম্ভাবনায় থাকা পেসার চা-বিরতির পর আর বোলিং পাননি। দুই স্পিনারই তুলে নেন বাকি দুই উইকেট। এই নিয়ে কোন আক্ষেপও নেই বাংলাদেশের তারকার।

ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কোন পেসারের পাঁচ উইকেট নেওয়ার সর্বশেষ নজির খুঁজতে যেতে হবে ১৩ বছর পেছনে। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে ৭১ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন।

লম্বা খরার পর বৃহস্পতিবার ইবাদতে মেটাতে পারতেন অতৃপ্তি। দারুণ বল করে ৪৭ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। টেল এন্ডারদের বিপক্ষে বল করে আরও এক উইকেট আসতেই পারত।

কিন্তু চা-বিরতির পর দুই প্রান্তেই স্পিনার আনেন অধিনায়ক লিটন দাস। সেশনের দ্বিতীয় ওভারে তাইজুল ইসলাম তুলে নেন নিজাত মাসুদকে। পরের ওভারে করিম জানাতকে ফিরিয়ে ইনিংস মুড়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর বল পাওয়া হয়নি ইবাদতের।

দিনের খেলা শেষে ইবাদত জানান, শেষ সেশনের শুরুতে লিটন তাকে বল করতে আনেননি স্লো ওভাররেটের কথা ভেবে, 'পাঁচ উইকেট হয় নাই। তবে আমরা দুই ওভার পিছনে ছিলাম, আমরা যদি পিছিয়ে থাকি তাহলে তো সমস্যা।  এজন্য অধিনায়ক চেয়েছে দুই পাশ থেকে দুজন স্পিনার দিয়ে শুরু করা। যেহেতু দলই প্রথম সেদিক দিয়ে ঠিক আছে। যেহেতু ব্যক্তিগত অর্জনের দিক থেকে আমার কাছে দলের চাওয়াটা বড় বিষয়।'

স্লো ওভাররেটের কারণে আইসিসি এখন বেশ কঠোর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট ওভার পূরণ করতে না পারলে পেতে হয় শাস্তি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

8h ago