কোহলি এবং উইলিয়ামসন: আছে শুধু ভালোবাসা

আরও একবার! কোন আইসিসি ইভেন্টের ফাইনাল শেষে কেন উইলিয়ামসনের মুখ হলো মলিন।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এবার ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। চারটি ফাইনালে গিয়ে হৃদয়ভঙ্গ হলো উইলিয়ামসনের। তর্কসাপেক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার তিনি, সাদা বলের ক্রিকেটে এখনো শিরোপার স্বাদ পাওয়ার অপেক্ষায় রইলেন।
তার জন্য দুঃখবোধ করা লোকের সংখ্যা কম নয়। ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ডের ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুলের সঙ্গে কথা বলছিলেন বিরাট কোহলি। দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের আনন্দের ফাঁকে উইলিয়ামসনকে নিয়ে বললেন, 'খুব ভালো একজন বন্ধুকে পরাজিত দলে দেখা দুঃখের।'
তবে পরক্ষণেই মনে করিয়ে দিলেন, 'কিন্তু আমি দুয়েকবার পরাজিত দলে থেকেছি যখন কিনা সে ছিল বিজয়ী দলে। তো আমাদের মধ্যে শুধু ভালোবাসা।'
কোহলি এবং উইলিয়ামসনের ক্রিকেটবিশ্বে পথচলা শুরু হয়েছে বহু আগে। সেই ২০০৮ সালে দুজনের বয়স যখন উনিশ পেরিয়ে যায়নি, তখন তারা মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পরবর্তীতে শিরোপাও জিতেছিলেন কোহলি।
একে একে দুজনে পা রাখেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১০ সালে প্রথমবার দেখা হয়ে যায় বড়দের ক্রিকেটে। ২০১৯ সালে এসে তারা নিজেদের খুঁজে পান নকআউটের মঞ্চে। ইংল্যান্ডে আয়োজিত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেয় ভারত। ২০২১ সালে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালেও মুখোমুখি হয় এই দুই দল। আরেকবার ভারতকে হারিয়ে শিরোপার উল্লাসে মেতে উঠে নিউজিল্যান্ড।
২০২৩ সালে এসে কোহলি শেষমেশ কিউইদের বিপক্ষে নকআউটে জয়ের দেখা পান। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারায় রোহিত শর্মার দল। এখন যোগ করুন, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। যেখানে ৪ উইকেটের জয় পেয়ে ব্ল্যাকক্যাপসদের হতাশায় ডুবিয়েছে ভারতীয়রা।
২০১৯ ও ২০২১- নকআউটে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ শেষে মলিন মুখে মাঠ ছেড়েছিলেন কোহলি। আর ২০২৩ ও ২০২৫ সালে এসে উইলিয়ামসন।
দুই, দুই। দুজনের মাঝে আছে শুধু ভালোবাসা!
Comments