'এমন ফাইনাল আর কখনোই দেখবে না বিশ্ব'
অঘটন, চমক আর উত্তেজনার বিচারে কাতার বিশ্বকাপ আগেই ছাড়িয়ে গিয়েছিল অতীতের অনেক আসরকে। রোমাঞ্চে ভরপুর ফুটবলীয় মহাযজ্ঞের শেষটা হলো আরও দারুণ, ফাইনালের দুই দলকে আলাদা করতে প্রয়োজন পড়ল টাইব্রেকারের। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল শেষে সাবেক দুই ইংলিশ তারকা জানালেন, এমন কিছু আর কখনোই দেখবে না বিশ্ব।
রোববার কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। এর আগে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১২০ মিনিটেও জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি কোনো দল। প্রথমার্ধেই লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়ার গোলে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচের শেষভাগে এসে খেলার চিত্র বদলে দেন কিলিয়ান এমবাপে, এক মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে লড়াইয়ে ফেরান ফ্রান্সকে।
নাটকের তখনও বাকি। অতিরিক্ত সময়ে মেসির গোলে ফের এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা, শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে পেনাল্টি পেয়ে আবারও সমতা টানেন এমবাপে। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পায় আলবিসেলেস্তেরা। লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা আর্জেন্টিনাকে এনে দেন পরম অরাধ্য বিশ্বকাপ ট্রফি। অমরত্বের জয়গান গেয়ে মহাতারকা মেসি ঘুচান তাদের ৩৬ বছরের শিরোপার আক্ষেপ।
ম্যাচশেষে এই ম্যাচ নিয়ে তাই মুগ্ধতা ঝরেছে সাবেক ফুটবলারদের কণ্ঠেও। সাবেক ইংল্যান্ড ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিন্যান্ড ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, 'এমন কিছু (বিশ্বকাপ ফাইনাল) আর কখনোই দেখব না আমরা। এমনটা ঘটবে আমি কল্পনাও করিনি, যেখানে দুটো দারুণ দলকে সমানে সমানে লড়তে দেখলেন আপনি এবং কেউই পিছু হটলো না। দুই দলের দুইজন মহাতারকা (মেসি ও এমবাপে) শেষ পর্যন্ত লড়ল, গোলের পর গোল... দুর্দান্ত।'
আরেক সাবেক ইংলিশ তারকা অ্যালান শিরারের তো দমই বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। বিবিসিকে তিনি বলেন, 'আমাদের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এটা অবিশ্বাস্য একটা ফাইনাল ছিল। আমি এমন কিছু আগে কখনোই দেখিনি এবং আমি মনে করি আর কখনও এমন দেখবোও না। এটা বিস্ময়কর ছিল।'
আর্জেন্টিনার অবিশ্বাস্য এই সাফল্যের নেপথ্যের নায়ক লিওনেল স্কালোনিও মুগ্ধ এই ম্যাচের উত্তেজনায়। ম্যাচশেষে তাই আবেগ লুকোতে পারলেন না তিনিও 'পুরোই পাগল করে দেওয়ার মতো ম্যাচ ছিল। আমি জানি আমরা ভালো একটি ম্যাচ কাটিয়েছি, প্রথম ৯০ মিনিটেই আমরা জিততে পারতাম। জীবনের সবচেয়ে সেরা অনুভূতি হচ্ছে আমার। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কিভাবে আমরা এটা (বিশ্বকাপ জয়) অর্জন করলাম।'
Comments