কোচের ধমকে জেগে ওঠেন ইংলিশ পেসাররা

Mark Wood
মার্ক উড। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম ওয়ানডেতে শুরুতে কিছুটা আলগা বল করছিলেন ইংল্যান্ডের পেসাররা, বেরিয়ে যাচ্ছিল রান। তবে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সময় লাগেনি। মিরপুরের মন্থর উইকেটেও পরে মানিয়ে নিয়ে ভীষণ কার্যকর বল করেছেন তারা। পেসার মার্ক উড জানালেন, সেদিন পেস বোলিং কোচ ডেভিড সাকেরের ধমক খেয়ে নিজেদের তেজ ফিরে পায় তাদের পেস ইউনিট।

প্রথম ম্যাচে শুরুর ৪ ওভারে ওভারপ্রতি সাতের কাছাকাছি রান দিয়ে ফেলেছিলেন জোফরা আর্চার ও ক্রিস ওকস। দশ ওভার পরই অবশ্য রাশ টেনে ধরতে পারেন তারা।

শুরুতে খরুচে হয়ে পড়া আর্চার পরে ১০ ওভারে কেবল ৩৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। উড ৩৪ রানে পান ২ উইকেট। ওকস মাত্র ২৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।

দ্বিতীয় ম্যাচে আর্চার ও ওকসকে বসিয়ে স্যাম কারান আর সাকিব মাহমুদকে খেলায় ইংল্যান্ড। একাদশে এসেই বাঁহাতি পেসে বাংলাদেশের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন কারান। মাত্র ২৯ রান দিয়ে তিনি পান ৪ উইকেট।

মিরপুরের উইকেটে স্পিনাররা সাধারণত পান সুবিধা। পেসারদের জন্য থাকে শক্ত চ্যালেঞ্জ। সেখানেও ইংল্যান্ড পেসারদের এত ভালো করার ক্ষেত্রে তেতে ওঠার পেছনের গল্প জানালেন উড, 'বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা সব সময় উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি চেষ্টা করেন আর অপেক্ষা করেন, তবে খেলাটা বদলাতে পারে। পেস বোলিং ইউনিট হিসেবে, আমরা প্রথম ম্যাচে একটু ধীর গতিতে শুরু করেছিলাম। তখন আমাদের পেস বোলিং কোচ ডেভিড সাকের এসে ধমক দেন। তিনি আমাদের শুরুর বোলিং নিয়ে একদম খুশি ছিলেন না।'

চট্টগ্রামের উইকেটে সব সময় থাকে ভিন্নতা। এখানে স্পিনারদের এত সুবিধা সাধারণত থাকে না। তবে পেসারদেরও তা সাহায্য করবে বলে মনে করেন না উড। পর্যবেক্ষণ করে তার মনে হয়েছে, তাদের ব্যাটিং ইউনিটও থাকবে রোমাঞ্চিত, 'না, সম্ভবত (পেসারদের সাহায্য)। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে উইকেট কীভাবে আচরণ করে, সেভাবেই মানিয়ে নিতে হবে।  তবে হেঁটে মনে হয়েছে, বেশ শক্ত। মিরপুরের উইকেট একটু চিটচিটে, কিছুটা নরম। হয়তো এটা পেস বোলারদের জন্য একটু স্পোর্টিং হবে।'

'যদি ঘূর্ণি উইকেটও হয়, আমরা মানিয়ে নিতে পারব। ভারতে গিয়েও হয়তো এরকম উইকেট পাব আমরা। আমরা সেখানে যাব এবং চাইব বিশ্বকাপ জিততে। আমাদের ব্যাটিং ইউনিট নিশ্চয়ই রোমাঞ্চিত হবে।'

আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডেতে নামবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

11h ago