সৌম্যের একার লড়াই, রংপুরের আরেক হারে টিকে রইল খুলনা
বাঁচা মরার লড়াইয়ে নাঈম শেখের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বিশাল পুঁজির পায় খুলনা টাইগার্স। রান তাড়ায় এক সৌম্য সরকারই দেখালেন ঝাঁজ। অন্য আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় তার আগ্রাসী ফিফটির পরও লড়াই জমাতে পারল না রংপুর রাইডার্স।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরকে ৪৬ রানে হারিয়েছে খুলনা। এতে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। আগেই প্লে অফ নিশ্চিত করা রংপুর প্রথমে আট ম্যাচ জিতে এই নিয়ে হারল টানা চার ম্যাচ। এই হারে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলা অনিশ্চিয়তায় পড়ে গেল তাদের।
এদিন নাঈমের ৬২ বলে ১১১ রানের ইনিংসে ভর করে ২২০ রান করে খুলনা। জবাবে রংপুর আটকে যায় ১৭৪ রানে। চোট কাটিয়ে ফেরার পর ৪৮ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে যান সৌম্য। আর কেউ সঙ্গ দিতে না পারায় তার ইনিংস যায় বিফলে।
বিশাল লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান তৌফিক খান তুষার। আরেক পাশে রান বাড়াতে থাকেন সৌম্য। তবে সঙ্গী পাচ্ছিলেন না তিনি। তিনে নামা সাইফ হাসান থামেন দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে।
পাকিস্তানি ইফতেখার আহমেদ নেমে ঝাঁজ দেখাচ্ছিলেন, তার বিদায় অসময়ে। খেই হারানো রংপুরের ইনিংস গতি পায় শেখ মেহেদী হাসানের সঙ্গে সৌম্যের জুটিতে। মেহেদী ১৪ বলে ২ চার, ২ ছক্কায় ২৭ করে মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে ফিরলে হোঁচট খায় রংপুর, পরে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ক্রিজে এসেই কোন রান না করে আউট হয়ে গেলে ব্যাকফুটে চলে যায় রংপুর।
পরে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে নিয়ে আরেকটি জুটি পান সৌম্য, তবে ততক্ষণে সমীকরণ হয়ে গেছে কঠিন। সাইফুদ্দিনও বেশিক্ষণ চালাতে পারেননি। আউট হন ১০ বলে ১৮ করে। এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে খুলনা। মেহেদী হাসান মিরাজ-নাঈম শেখ মিলে আনেন ভালো শুরু। থিতু হয়ে চতুর্থ ওভারে ১২ বলে ২১ করে ফেরেন মিরাজ।
পরে উইলিয়াম বোসিস্টকে নিয়ে ৪৭ বলে ৮৮ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে মাত্র ৩২ বলে ৭২ রান যোগ করেন নাঈম। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৫ বলে ২৯ রান করেন অঙ্কন। এদিন অবশ্য নাঈমের বড় ইনিংস খেলা সহজ হয়েছে রংপুরের বাজে বোলিংয়ে। একের পর এক নো বল, ফুলটস করে এলোমেলো ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাহিদ রানারা। সুযোগে স্বীকৃত ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে নাঈম গড়ে দেন ব্যবধান।
Comments