রাজশাহীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিসিবি?

ম্যাচ আয়োজন নিয়েই ছিল শঙ্কা। কারণ বাইলজ অনুযায়ী, কমপক্ষে দুইজন বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নামতে হবে প্রতিটি দলকে। শেষ পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় খেলার অনুমতি মিললো বটে, তবে আরও একবার প্রশ্ন উঠল বিপিএলের মান নিয়ে। কিন্তু কেন এমন অনুমতি দিল বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটি? আর কতদিন এই বিশেষ ব্যবস্থা চলবে?

রোববার সকাল থেকেই নানা নাটক। আগের দিন মাঝ রাতে হঠাৎ জানানো হয় ছাড়তে হবে টিম হোটেল। সকালে তড়িঘড়ি হোটেল বদল হলেও খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের সুরাহা হয়নি। দেশি খেলোয়াড়দের কিছু পরিমাণ অর্থ দিয়ে মানাতে পারলেও বিদেশি খেলোয়াড়দের মানাতে পারেনি দুর্বার রাজশাহী।

অথচ আগের দিনই সব কিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিসিবির কর্তারা। তাই কিছুটা হতাশ কণ্ঠে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বললেন, 'এটা অনাকাঙ্ক্ষিত, দল নিয়ে যা ঘটছে সবকিছুই অনাকাঙিক্ষত। এটা নিয়ে আলোচনা করছি, বিসিবির দায়িত্ব এই সমস্যা বের করে সমাধান করা...। কিন্তু প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জিনিস দেখছি। বিপিএলের শেষের দিকে চলে আসছে, অস্বীকার করার কিছু নেই।'

এমন ঘটনায় কোনো ধরণের শাস্তি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বলেন, 'এটা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কী ধরণের সিদ্ধান্ত আসবে, সেটি বলতে পারছি না। কিন্তু কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমরা ছাড় দিচ্ছি, খেলছে খেলুক। কিন্তু কতটুকু ছাড় দেওয়া যাবে? আমরা তো বিপিএলের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে দিতে পারি না। বিসিবির প্রধান দায়িত্ব বিপিএলের মর্যাদা রক্ষা করা।'

তবে এমন কিছু হবে ভাবতেই পারেননি ইফতেখার, 'এই পর্যায়ে যে যাবে এটা কিন্তু কেউ ভাবেনি। দেশের পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে একটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের ওপরে বিশ্বাস করে খেলা শুরু করা হয়েছিল, তারা সেই বিশ্বাস রাখেনি। এখন সময় এসেছে আমাদের ব্যবস্থা নেওয়ার।'

'বিপিএল ক্রিকেট বোর্ডের একটা সম্পত্তি। সেটি রক্ষার জন্য বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী যে যে ব্যবস্থা নেওয়ার আছে, সেগুলো নেওয়া হবে। চুক্তিতে সবকিছু বলা আছে। তার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না। সেটি অগ্রহণযোগ্য হবে। টুর্নামেন্টের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা অনেক কিছু ছাড় দিয়েছি। কিন্তু এখন যা হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না,' যোগ করেন মিডিয়া বিভাগের প্রধান।

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করে আরও বললেন, 'টুর্নামেন্টের স্বার্থ ও দেশের মর্যাদা- দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্ট যদি ভালোভাবে শেষ করতে না পারি তাহলে সেটি সুনাম বয়ে আনবে না। এটা (বিদেশিদের পারিশ্রমিক পরিশোধ) নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই যে, ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে না? এজন্যই আমার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা ছেড়ে দিচ্ছি না। কেউ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে আমরা আমাদের মতো ব্যবস্থা নিবো।'

Comments

The Daily Star  | English

Growth of economic units slows amid capital shortages

The growth in the number of economic units in Bangladesh has slowed over the past decade, primarily due to capital shortages among rural entrepreneurs, according to the latest Economic Census of the Bangladesh Bureau of Statistics.

1h ago