জাকেরের রান পাওয়ার দিনে কিংসের কাছে হারল সিলেট
উসমান খান, গ্রায়াম ক্লার্কের ঝড়ো শুরুর পর শেষ দিকে উত্তাল ইনিংসে চিটাগাং কিংসে দুইশো পার করান হায়দার আলি। চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে তাল পায়নি সিলেট স্ট্রাইকার্স। জর্জ মানসি আর জাকের আলি চেষ্টা করলেও তাদের দমিয়ে সহজেই জিতেছে কিংস।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবারের বিপিএলের শেষ দিনে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩০ রানে হারিয়েছে চিটাগাং কিংস। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২০৩ রান করে চিটাগাং। জবাবে ১৭৩ রানে থেমে যায় সিলেটের ইনিংস।
রান তাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রনি তালুকদারের উইকেট হারায় সিলেট। নাবিল সামাদের বলে কোন রান না করেই ফেরেন পল স্টার্লিং। আগের দুই ম্যাচে দারুণ খেলা জাকির এদিনও ভালো শুরু পেয়েছিলেন। তবে থিতু হয়ে এদিন ফেরেন আলিসের শিকার হয়ে। রনি তালুকদার আগের ফিফটি পেলেও এদিন দাঁড়াতে পারেননি। ব্যর্থ হন অ্যারন জোন্স।
ক্রিজ আঁকড়ে থিতু হয়ে পরে চেষ্টা চালান জর্জ মানসি, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন জাকের আলি অনিকও। এই দুজনের ৬২ রানের জুটি ভাঙে মানসির বিদায়ে। ৩৭ বলে চারটি করে চার-ছক্কায় ৫২ করে থামেন তিনি।
অধিনায়ক আরিফুল হক দুই ছক্কা মেরেই ফিরে যান। জাকের টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। তবে হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া কিছু করতে পারেননি তিনি। জাকের অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৪৭ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কিংসের শুরুটা হয় বাজে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ পাওয়া বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন আবার হন ব্যর্থ। তানজিম হাসান সাকিবের বলে পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচে ফেরেন ১০ বলে ৭ রান করে।
তবে এই ধাক্কা দ্রুতই সামলে নেয় কিংস। আবার জ্বলে উঠেন পাকিস্তানি উসমান, তার সঙ্গে মিলে ঝড় তুলেন ক্লার্ক। দুজনে মিলে যোগ করেন ৬৮ রান। ৩৫ বলে ৫৩ করে আরিফুল হকের বলে ফেরেন উসমান।
তবে চালিয়ে যেতে থাকেন ক্লার্ক, তিনি খেলেন আরও আগ্রাসী। ৩৩ বলে ৩ চার, ৫ ছক্কায় ৬০ করা ক্লার্ককে থামান নাহিদুল ইসলাম। শেষ দিকে কিংসের রান দুইশো ছাড়ায় পাকিস্তানি হায়দারের ব্যাটে। মাত্র ১৮ বলের উপস্থিতিতে ৩ চার, ৫ ছক্কায় ৪২ করে যান এই ব্যাটার। তার এই ইনিংসই গড়ে দেয় ম্যাচের তফাৎ।
Comments