সাকিবের উইকেটটা প্রিয়: নিহাদুজ্জামান

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই সাকিব আল হাসানের উইকেট নিলেন নিহাদুজ্জামান। এই বাঁহাতি স্পিনার ঠিক পরের বলে ফেরালেন মাহমুদউল্লাহকে। এরপর তিনি আউট করলেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা আর ইফতিখার আহমেদকেও। কিন্তু তার এমন দুর্দান্ত প্রদর্শনী সত্ত্বেও হারল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তা নিয়ে আফসোস করার পাশাপাশি নিহাদুজ্জামান জানালেন, সাকিবের উইকেটটা ব্যক্তিগতভাবে তার প্রিয় ছিল।

বিপিএলে গতকাল শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের কাছে ৩ উইকেটে হার মানে চট্টগ্রাম। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে তারা। জবাবে ৪ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ১৭১ রান করে জয় নিশ্চিত করে সাকিবের বরিশাল।

২৪ বছর বয়সী নিহাদুজ্জামান মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন। এনামুল হক বিজয়ের ৫০ বলে ৭৮ রান সত্ত্বেও নিহাদুজ্জামানের তোপে এক পর্যায়ে ১১৭ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল বরিশাল। তবে আফগানিস্তানের করিম জানাতের ১২ বলে ৩১ রানের ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ হাসি হাসে তারা।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে নিহাদুজ্জামান জানান, সাকিব ও পাকিস্তানের ইফতিখারের উইকেট পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল তার, 'ওদের দলের মূল যে ব্যাটসম্যান আমি মনে করি… সাকিব ভাই খুব ভালো ফর্মে ছিলেন। সঙ্গে ইফতিখার। ওরা দুজনই খুব ভালো ব‌্যাটসম‌্যান। নিজের কাছে ইচ্ছা ছিল, যদি দুজনের উইকেটটা পাই খুব ভালো হবে।'

বরিশালের অধিনায়ক সাকিবের উইকেট পেয়ে খুশি হলেও ম্যাচ না জেতায় হতাশ তিনি, 'সাকিবের উইকেটটা প্রিয়। ওটা বড় উইকেট। যদি ম‌্যাচটা জিততে পারতাম, তাহলে ভালো লাগত। পারফর্ম করার সঙ্গে ম‌্যাচ জিতলে আনন্দ লাগে।'

যে উইকেটগুলো শিকার করেন, সেগুলোর পিছনে নিহাদুজ্জামানের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল, 'আমার পরিকল্পনা ছিল সাকিব ভাই যেন আমাকে চড়াও হয়ে মারতে না  পারেন। এই কারণে সফলতা পেয়েছি। আমি গোড়ালিতে বলটা করতে চেয়েছিলাম। ভালো খেললেও যেন এক হয়। বাঁহাতি ব‌্যাটসম‌্যান বলতে… চতুরঙ্গর উইকেটও পেয়েছি। আমার মনে হয়েছিল, যদি বাঁহাতি ব‌্যাটসম‌্যান আসে, আমার ওপর চড়াও হতে না পারে। আমি ভালো বিকল্প বাছাই করেছি। ও (চতুরঙ্গ) ডাউন দ‌্য উইকেটে এসেছে, আমি আর্ম বল করেছিলাম। ইফতিখারকে পেসে পরাস্ত করেছি।'

নিজের বোলিংয়ের মূল্যায়ন করতে গিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে করা পরিশ্রমের কথা তুলে ধরেন তিনি, 'বোলিং ভালো হয়েছে। শেষ দুই বছর আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। নিজে নিজে পরিকল্পনা করে বল করেছি কখন পাওয়ার প্লেতে বল করব, কখন স্লগ ওভারে বল করব, কখন মিডল ওভারে বল করব। ওভাবে নিজেকে তৈরি করেছি। এছাড়া, সাদা বলে অনুশীলন করেছি। যা চেষ্টা করেছি তা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

From subsistence to commercial farming

From the north-western bordering district Panchagarh to the southern coastal district Patuakhali, farmers grow multiple crops to sell at markets

3h ago