ইফতেখার-সাকিবের বিশ্বরেকর্ডে রানের পাহাড়ে বরিশাল

সাকিব আল হাসানকে সঙ্গ দিতে ইফতেখার আহমেদ যখন উইকেটে আসেন তখন দল বেশ চাপেই ছিল। ৪৬ রানেই প্রথম সারির চার ব্যাটার তখন সাজঘরে। শুরুতে দেখে শুনেই খেলতে লাগলেন এ দুই ব্যাটার। এরপর ধীরে ধীরে খোলস ভাঙেন। এরপর দানবীয় রূপে। তাতে পঞ্চম উইকেট জুটিতে হলো নতুন বিশ্বরেকর্ড। বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস মিলে ফরচুন বরিশালের।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৩৮ রান করে ফরচুন বরিশাল। পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ৮৯ বলে আসে ১৯২ রান। যা টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ভিটালিটি ব্লাস্টের ম্যাচে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে বার্মিংহ্যাম বিয়ার্সের অ্যাডাম হোস ও ড্যান মৌসলি গড়েছিলেন ১৭১ রানের জুটি।
এদিন সাকিব ও ইফতেখার দুইজনই তাদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে ১০০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ইফতেখার। মাত্র ৪৫ বলে ৬টি চার ও ৯টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। অথচ প্রথম ১৩ বলে মাত্র ৯ রান করেছিলেন ইফতেখার। এরপর শুরু হয় তাণ্ডব। সাকিব অবশ্য শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা চালান। তবে শেষ দিকে দানবীয় রূপে আবির্ভূত হন তিনিও। ৪৩ বলে ৯টি চার ও ৬টি ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৮৯ রানের ইনিংস।
মূলত দ্বাদশ ওভার শেষেই তাণ্ডব শুরু করেন এ দুই ব্যাটার। শামিম হোসেন পাটোয়ারি করা ১৩তম ওভারে চার ছক্কায় ২৫ রান নেন ইফতেখার। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাদের। এমনকি টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা বোলার হারিস রউফও পার পাননি। ১৯তম ওভারে এসে তিনটি ছক্কা ও একটি চার দিয়ে হজম করেছেন ২৪ রান। শেখ মেহেদী হাসানের করা শেষ ওভারে আসে ২৭ রান। সবমিলিয়ে শেষ আট ওভারে আসে ১৪৪ রান।
পঞ্চম উইকেটে বিশ্বরেকর্ড গড়লেও বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটা নয়। আছে তিন নম্বরে। ২০১৭ সালের ফাইনালে ক্রিস গেইল ও ব্রান্ডন ম্যাককালামের গড়া দ্বিতীয় উইকেট জুটির অবিচ্ছিন্ন ২০১ রানের রেকর্ড সর্বোচ্চ। দলীয় সংগ্রহও বিপিএলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই চট্টগ্রামে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্স ৪ উইকেটে সর্বোচ্চ ২৩৯ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল।
Comments